মার্কিন সামরিক বাহিনীকে হংকংয়ে ঢুকতে বাধা

কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভে অচলাবস্থা বিরাজ করছে হংকংয়ে। সেখানকার পরিস্থিতিকে যুক্তরাষ্ট্র উসকে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে চীন। এছাড়া সম্প্রতি ‘হংকং মানবাধিকার এবং গণতন্ত্র অধিকার’ নামের একটি বিলে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপরই হংকংয়ে মার্কিন যুদ্ধবিমান ও রণতরীর প্রবেশ আটকে দিল বেইজিং।
সোমবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, মার্কিন সেনাবাহিনীর কোনো জাহাজ বা বিমান হংকংয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। তাদের স্পষ্ট বার্তা, যুক্তরাষ্ট্র এতদিন যেভাবে বিক্ষোভকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাদের প্ররোচনা জুগিয়েছে, তাতে এই মুহূর্তে ওই স্বশাসিত এলাকায় মার্কিন সামরিক বাহিনীকে ঢুকতে দেওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি মার্কিন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন চীন।
সোমবারই যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে চীন জানিয়েছিল, ‘আমেরিকাকে ভুল শোধরানোর জন্য আমরা অনুরোধ করছি। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা গলানো বন্ধ করুক ট্রাম্প প্রশাসন। হংকংয়ের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন ও সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে ভবিষ্যতে আরও কঠোর পদক্ষেপ করবে চীন।’
হংকংয়ের উপকূলে মার্কিন সামরিক বাহিনীর মহড়া নতুন নয়। প্রতি বছরই এই ধরনের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। গত এপ্রিলে মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ ব্লু রিজকে হংকং উপকূলে আটকে দেওয়া হয়েছিল। তখনও পুরো মাত্রায় হংকং অশান্ত হয়নি। তারপরে গত আগস্টেও মার্কিন রণতরীকে হংকংয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এবার সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রকে বাধা এবং হুঁশিয়ারি দিল চীন।
হংকং নিয়ে চীনের হুঁশিয়ারির কোনো প্রতিক্রিয়া অবশ্য এখনও জানায়নি হোয়াইট হাউস। তবে হংকং নিয়ে দু’দেশের টানাপড়েনের প্রভাব বাণিজ্য চুক্তিতে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চীনের বারবার হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও হংকংয়ের মানুষ বিক্ষোভের পথ থেকে সরে আসছে না। গত সপ্তাহান্তেই সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশে ফের পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে বিক্ষোভকারীদের।
ঢাকা টাইমস/০৩ডিসেম্বর/একে

মন্তব্য করুন