খেলা বন্ধ হওয়ায়ই ক্রিকেটাররা বেশি ঝুঁকিতে: সুজন

করোনা শঙ্কায় থমকে গেছে বিশ্বের প্রায় সব খেলাধুলা। সরকারি নির্দেশনা মেনে বাংলাদেশেও স্থগিত ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক সব আয়োজন। গত ১৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়ার বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ প্রথম রাউন্ড শেষ হলেও করোনা শঙ্কায় স্থগিত হয়েছে দ্বিতীয় রাউন্ড। আগামীকাল (১৮ মার্চ) থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম জমজমাট এই আসরের এই রাউন্ডটি। খেলা বন্ধ হলেও ক্রিকেটাররা চাইছেন খেলতে, জানালেন আবাহনী লিমিটেডের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। দাবি করলেন ম্যাচ চলাকালীন অবস্থায় ক্লাবের আওতায় ক্রিকেটাররা আরো বেশি নিরাপদ, খেলা বন্ধ হলেই বরং ক্রিকেটাররা বেশি ঝুঁকিতে।
দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা হয়েছে স্থগিত, এর পরের রাউন্ডগুলোও অনিশ্চিত। ফলে অনুশীলন থাকার কথা নয় ক্লাবগুলোর কিন্তু মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করতেই মিরপুরমুখী আবাহনী বহর। কেক কেটে বঙ্গবন্ধুর ১০০তম জন্মদিন পালনের পর খালেদ মাহমুদ সুজন জানালেন খেলা বন্ধ থাকুক চায়না ক্রিকেটাররা। অন্যদিকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ চললেও করোনা নিয়ে খুব একটা শঙ্কার কিছু দেখছেন না আবাহনীর এই কোচ, দিয়েছেন যুক্তিও।
ক্রিকেটাররা খেলতে চায় জানাতে গিয়ে খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘১৮ মার্চ আমাদের খেলা ছিল। সেটা হবে না। আমরা খেলতে চাই। ছেলেদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। সবাই খেলতে চায়। জানি যে করোনার একটা বিপদ আছে। আমরা তো মাঠের মানুষ, আমরা চাই খেলা হোক। এটা খেলার সিজন। পরে তো বৃষ্টি হবে। কষ্ট হবে খেলতে। আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে। আর করোনা ভাইরাসের যে ভয়াবহতা চলছে, সেটা থেকে সবাই মুক্তি পাবে, এটাই আশা করছি। সব স্বাভাবিক হয়ে আসবে, খেলা মাঠে ফিরবে এটাই আশা করি।’
সুজনের মতে খেলা বন্ধ হলেই বরং ক্রিকেটারদের করোনা ঝুঁকি থাকবে বেশি, ‘এখানে একাডেমীতে আমরা যতটুকু নিরাপদ, বাইরে ছেলেরা যখন যাবে ওরা তত নিরাপদ না। আর প্রিমিয়ার লিগ যদি বন্ধ হয়ে যায়, আর যদি শুরু না করা যেতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই সামনে রোজার মাস। তখন ঠিকমতো শেষ করতে পারে কিনা এই ব্যাপারও থাকবে। তারপরেও এটা যেহেতু সরকারের সিদ্ধান্ত, এটাকে প্রাধান্য দিতেই হবে। যত তাড়াতাড়ি মাঠে যাওয়া যায় ভালো হবে। ছেলেরা খেলতে চায়। আমি ছেলেদের এখান থেকে ছাড়তে চাই না।’
‘কেননা যখনই ওদের ছাড়ব ওরা ওদের দেশের বাড়িতে যেতে চাইবে। পাবলিক গাড়ি ব্যবহার করবে। সেটা কতোটা সুরক্ষিত? আপনি তো সবাইকে চেনেনও না। কেউ যদি আক্রান্ত হয়, তাহলে তো খারাপই হবে ওদের জন্য। আমরা চাই ওদের এখানে রাখতে। দেখা যাক, বোর্ড থেকে কী সিদ্ধান্ত আসে। কখন খেলা শুরু হয় দেখতে হবে।’
(ঢাকাটাইমস/১৮ মার্চ/এআইএ)

মন্তব্য করুন