সোয়াইন ফ্লুর থেকে ১০ গুণ ভয়ংকর ‘করোনা’

এক দশক আগে মহামারির আকার ধারণ করেছিল সোয়াইন ফ্লু। বিশ্ব জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল সেবারও। কিন্তু তার থেকে এবারের মহামারীর আকার অনেকটাই বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে সোয়াইন ফ্লুর থেকেও ১০ গুণ মারাত্মক করোনাভাইরাস।
২০০৯ এর জানুয়ারি থেকে ২০১০ এর আগস্ট পর্যন্ত তাণ্ডব চালিয়েছিল সোয়াইন ফ্লু। আক্রান্ত হয়েছিল ১.৬ মিলিয়ন মানুষ। মৃত্যু হয়েছিল ১৮ হাজার ৪৪৯ জনের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসুস জানিয়েছেন, সোয়াইন ফ্লু-র থেকেও অনেক বেশিমাত্রায় ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। আমরা জানি করোনাভাইরাস অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আর এটা অনেক বেশি মারাত্মক। নার্সিং হোমের মত জায়গায় এই রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে টেস্ট করে আইসোলেট করলে সমাধান আসা সম্ভব।
তিনি জানান, অনেক দেশে প্রত্যেক ৩-৪ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে। তাই এখনও সতর্কতা কমানোর সময় আসেনি।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত করোনায় বিশ্বব্যাপী নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৯ হাজার ৬৯২ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ২৪ হাজার ৬৭৯ জন। অপরদিকে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৫ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নেয়া হয়েছে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। অধিকাংশ দেশেই মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে মানুষের চলাফেরার ওপর বিভিন্ন মাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। কোনো কোনো দেশে আরোপ করা হয়েছে সম্পূর্ণ লকডাউন, কোথাও কোথাও আংশিকভাবে চলছে মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রম। এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকার প্রায় অর্ধেক মানুষ চলাফেরার ক্ষেত্রে কোনো না কোনো মাত্রায় নিষেধাজ্ঞার ওপর পড়েছেন।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর ব্যাপক চাপ পড়ার কারণে কিছুদিনের মধ্যেই অনেক দেশেই স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সরঞ্জাম ও চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের ঘাটতি দেখা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঢাকা টাইমস/১৪এপ্রিল/একে

মন্তব্য করুন