বড়লেখার পুলিশ সদস্য জানালেন করোনা জয়ের গল্প

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় করোনা আক্রান্ত প্রথম পুলিশ সদস্য সুব্রত কুমার দাস সুস্থ হয়েছেন । উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, প্রশাসন ও পুলিশের তাৎক্ষণিক সহযোগিতায় বাসায় চিকিৎসাধীন থেকে আক্রান্তের আঠারো দিনের মধ্যেই তিনি করোনাকে জয় করেছেন। ঢাকাটাইমসকে এ জয়ের গল্প শোনালেন সুব্রত কুমার।
তিনি জানান, শরীরে ঠান্ডা-জ্বর, কাশির উপসর্গ দেখা দিলে ২০ জুন করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন তিনি। ২৩ জুন তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এরপর স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশে তিনি থানা কোয়ার্টারে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নেন। দীর্ঘ আঠারো দিন আইসোলেশনে থাকার পর পরপর তিনবার নমুনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় ১১ জুলাই তাকে করোনামুক্ত ঘোষণা করার পর ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করে আমি মনে করি, দ্বিতীয় জীবন পেয়েছি। করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রতিদিনই মানুষ মারা যাচ্ছে। ভয়ে হতো এই মৃত্যুর মিছিলে আমিও চলে যেতে পারি। চোখে পরিবার, সহকর্মীদের সঙ্গে কাটানো স্মৃতি ভেসে উঠত। আমার শরীর প্রচণ্ড দুর্বল ছিল। কয়েক দিন কিছুই খেতে পারতাম না। তারপরেও মনোবল হারাইনি। চিকিৎসকদের নির্দেশ মেনে ওষুধ খেয়েছি। নিয়মিত গরম পানি পাশাপাশি ভিটামিস-সি সমৃদ্ধ ফলমূল খেয়েছি। এতে ধীরে ধীরে আমার শারীরিক উন্নতি হতে থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিনিয়ত মাঠে কাজ করতে হয়। মানুষের সংস্পর্শে যেতে হয়। কখন কিভাবে করোনা সংক্রমিত হয়েছি বুঝতে পারিনি। তবে আমি ঘাবড়ে যাইনি। বিশ্বাস ছিল, আবারও সুস্থ হয়ে কাজে ফিরবো। আমার বিশ্বাসের জয় হয়েছে। আবারও কাজে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে।’
সার্বক্ষণিক খবর রাখার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ, পুলিশ বিভাগ, প্রশাসনের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। পাশাপাশি সবাইকে করোনায় আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হবার পরার্মশ দেন। আর গরম পানি ও ভিটিামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়ার কথাও বলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রত্নদ্বীপ বিশ্বাস বলেন, ‘ওই পুলিশ সদস্যের করোনা পজিটিভ আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাকে থানা কোয়ার্টারে আইসোলেশনে থাকতে বলি। আর ফোনে সার্বক্ষণিক তার খোঁজ খবর রাখি।’
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক জানান, সুব্রত কুমারের নমুনা পরীক্ষা থেকে শুরু করে সুস্থ হওয়া পর্যন্ত সার্বক্ষণিক বড়লেখা থানা পুলিশ তার সঙ্গে ছিল।
(ঢাকাটাইমস/১৮জুলাই/পিএল)

মন্তব্য করুন