'পুলিশ আংকেল নতুন জামা কিনে দেন'

পুলিশ আংকেল আমাদের বাড়িতে বন্যার পানি উঠেছে। রাস্তায় থাকি। এ অবস্থায় আব্বু কামলা দিতে পারছে না। এদিকে করোনায় তেমন কামাইও নাই। আব্বু বলছে এ ঈদে কিছু দিতে পারবে না। আমরাদেরও ইচ্ছে করে অন্যদের মতো ঈদের আনন্দ করতে। পুলিশ আংকেল আমায় নতুন জামা কিনে দেন। নতুন জামা পড়ে আব্বুর সঙ্গে ঈদে যাব।
এমনি করে আকুতি কণ্ঠে বলছিল টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কুকাদাইর এলাকার রাস্তার উপর থাকা বানভাসী ও হতদরিদ্র শিশু মেহেদী হাসানসহ বন্যার্ত শিশুরা।
বানভাসী বন্যার্ত এসব শিশুর আবেগ আর উৎকণ্ঠার কথাও মনযোগ দিয়ে শুনছিলেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার ওসি রাশিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সম্প্রতি গত কয়েকদিন আগে বন্যার্ত পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণের সময় মেহেদী হাসান নামে একটি শিশু আমাকে জড়িয়ে ধরেই এমন আবদার করে। পরে কোমলমতি শিশুদের জন্য ব্যক্তিগত অর্থে নতুন শার্ট-প্যান্টের ব্যবস্থা করা হয়।
এরপর শুক্রবার দুপুরে ওই শিশু মেহেদী হাসানসহ প্রায় অর্ধশতাধিক বানভাসী অসহায় বন্যার্ত শিশুর মাঝে নতুন জামা পড়িয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নতুন জামা বিতরণ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়। বানভাসী এসব শিশুদের মাঝে চকলেট, রান্না করা খাবার ও সব বয়সী মানুষের মাঝে করোনা সংক্রমণরোধে মাস্কও দেয়া হয়েছে।
ঈদ উপহার বিতরণে উপস্থিত ছিলেন, উপ-পরিদর্শক এসআই টিটু চৌধুরী, এসআই মো. লিটন মিয়াসহ থানার অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা।
নতুন জামাসহ ঈদ উপহার পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে শিশুরা বলে, পুলিশ আংকেল আমাদের নতুন জামা ও ঈদ উপহারসহ সেলামিও দিয়েছে। আংকেলের দেয়া নতুন জামা পরে শনিবার ঈদে আনন্দ করব। পুলিশ আংকেলকে ধন্যবাদ।
বানভাসি এসব শিশুর নতুন জামা ও ঈদ উপহারের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি রাশিদুল ইসলাম বলেন, বন্যার্ত শিশুদের মাঝে গত বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার ব্যক্তিগত অর্থে নতুন জামা ও ঈদ উপহার দেয়া হয়েছে। দেয়া হয়েছে অন্যান্য সামগ্রী। বানভাসী অসহায় পরিবারের শিশুদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য সামান্য উপহার দিয়েছি। শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে আমি সবসময় পাশে থাকব।
(ঢাকাটাইমস/৩১জুলাই/কেএম)

মন্তব্য করুন