গৌরীপুরে মেয়র প্রার্থীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় মেয়র প্রার্থী মাসুদুর রহমান শুভ্রকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার দুদিন পর গত সোমবার রাত ১০টার দিকে নিহত স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শুভ্রর ছোট ভাই আবিদুর রহমান প্রান্ত এ মামলা করেন।
মামলায় গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও মাইলাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াদুজ্জামান রিয়াদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ আর ২২ জনকে এ হত্যা মামলার আসামি করা হয়।
এর আগে গত সোমবার দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াদ, কাউরাট গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, রাসেল ও মজিবুরকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় গৌরীপুর থানা পুলিশ। সোমবার বিকালে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। রবিবার ভোরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করেছিল পুলিশ।
গত শনিবার রাতে পৌর এলাকার মধ্যবাজারে অবস্থিত নিজ কার্যালয়ের সামনে শুভ্র ও তার দুই সহযোগীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। পরে শনিবার রাতেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে গৌরীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সোহেল রানা জানান, গত বছর জিয়াউর রহমানের শাহাদত বার্ষিকীর এক অনুষ্ঠানে নিহত শুভ্র’র সঙ্গে চেয়ারম্যান রিয়াদের হাতাহাতি হয়। এরপর থেকেই রিয়াদ ও শুভ্রর মাঝে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
তিনি জানান, অনেকেই মনে করেন লাঞ্চিত হওয়ার জেদ মেটাতেই রিয়াদ তার দলবল নিয়ে শুভ্রর ওপর এ হামলা চালিয়েছে।
তবে বিএনপি নেতাদের দাবি, বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াদকে রাজনৈতিকভাবে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তারা পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শুভ্র কেন জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যাবে। যেখানে তার যাওয়ার প্রশ্নই উঠেনা, সেখানে হাতাহাতির বিষয়টি ভিত্তিহীন ও মনগড়া।’
স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার ধারণা, অন্যদল থেকে আওয়ামী লীগে আসা কতিপয় নেতার মদদে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত হয়েছে।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন হত্যা মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আটক ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনকে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২০অক্টোবর/পিএল)

মন্তব্য করুন