শরীয়তপুরে হত্যা মামলার রায় পুনর্বিবেচনার দাবিতে হরতাল পালিত

শরীয়তপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২২ মার্চ ২০২১, ১৭:১৭
অ- অ+

শরীয়তপুর পৌরসভায় অর্ধবেলা হরতাল পালন করেছে একটি হত্যা মামলার বাদী পক্ষের সমর্থকরা। শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হবিবুর রহমান ও তার ছোট ভাই মনির হোসেন মুন্সী হত্যা মামলার রায়ের প্রতিবাদে এবং বিচারকের অপসারণ ও রায় পুনর্বিবেচনার দাবিতে এই কর্মসূচি দেয়া হয়।

সোমবার ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শরীয়তপুর পৌর শহরে এই হরতাল পালন হয়।

হরতাল চলাকালে পৌরসভার সব বাজারের খাদ্য ও ওষুধের দোকান ছাড়া সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। হরতাল সফলকারীরা শরীয়তপুর পৌর এলাকার ঢাকা-শরীয়তপুর ও খুলনা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছ ফেলে গাড়ি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়।

অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, সাংবাদিক ও জরুরি বিদ্যুতের গাড়ি ছাড়া সব যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফলে সরকারি চাকরিজীবী দূরপাল্লার যাত্রীসাধারণসহ পথচারীরা হেঁটে গন্তব্যে যেতে হয়েছে।

এ বিষয়ে নিহত হাবিবুর রহমানের ছেলে শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র পারভেজ রহমান জন বলেন, আমার বাবা ও চাচাকে দিনের আলোতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। প্রকৃত খুনীদের আড়াল করে ২০ বছর পরে এই হত্যা মামলার রায় প্রকাশ করেছেন আদালত। আমরা আদালতের এই রায় মানি না।

তিনি বলেন, আমার বাবা-চাচাকে যারা ভালোবসতো তারাই আজ আদালতের এই রায়ের প্রতিবাদে এবং বিচারকের অপসারণ ও রায়ের পুনর্বিবেচনার দাবিতে হরতাল ডেকেছেন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হয়। পরবর্তী কর্মসূচি জানিয়ে দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ৫ অক্টোবর শরীয়তপুর জজকোর্টের সরকারি কৌঁশুলী (পিপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান ও তার ছোট ভাই মনির হোসেন মুন্সীকে নিজ বাসায় প্রকাশ্য দিবালোকে গুলী করে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় নিহত হাবিবুর রহমানের স্ত্রী জিন্নাত হাবিব বাদী হয়ে তৎকালীন শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রয়াত কেএম হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গকে প্রধান আসামি করে কিছু সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ ৫৪ জনকে আসামি করে পালং থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

পুলিশ তদন্ত করে ৫৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এরই মধ্যে আসামি কেএম হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গ ও শাহজাহান মাঝি মৃত্যুবরণ করেন। এ মামলায় ২৮ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে দীর্ঘ ২০ বছর পর রবিবার এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

রায়ে ছয়জনের ফাঁসির আদেশ, চারজনের যাবজ্জীবন, তিনজনকে দুবছর করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ ও ৩৯ জনকে বেকসুর খালাসের আদেশ দিয়েছেন শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শওকত হোসাইন।

(ঢাকাটাইমস/২২মার্চ/কেএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
‘ধামাকা শপিং’-এর চেয়ারম্যান এম আলীকে ধরে থানায় দিল জনতা
তারেক রহমানকে শরণখোলা বিএনপির নেতাদের চিঠি, কাউন্সিলে আঞ্জুমান আরার প্রার্থীতা বাতিলের দাবি
সনাতনী জনগণের মাঝে বিএনপির বার্তা পৌঁছে দিলেন কাজী আলাউদ্দিন
বিচার সংস্কার ও নতুন সংবিধানের মাধ্যমেই দেশ পুনর্গঠন করতে হবে: নাহিদ ইসলাম
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা