ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোনা শফির সমাচার

কাজী রফিক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৩ মে ২০২১, ১৪:৩১
অ- অ+

গামছা বিক্রেতা থেকে স্বর্ণ চোরাকারবারি। তারপর জমি ব্যবসায়ী। মনিরের নামের সঙ্গে জড়ায় ‘গোল্ডেন’। তারপর পরিচিতি পান গোল্ডেন মনির নামে। গত বছরের নভেম্বরে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়ার জানা যায় গোল্ডেন মনিরের উত্থান সোনা শফির হাত ধরে।

কে এই ‘সোনা শফি’? তার আসল নাম শফিকুল ইসলাম। তিনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের টানা দুইবারের কাউন্সিলর। স্বর্ণ চোরাকারবারের কারণে শফি পরিচিতি ‘সোনা শফি’ নামে।

জানা যায়, রাজধানীর মৌচাক মার্কেটে ক্রোকারিজের ব্যবসার পাশাপাশি মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনির ‘লাগেজ ব্যবসা’ করতেন। সেসময় মনিরের পরিচয় হয় স্বর্ণ চোরাকারবারী শফিকুল ইসলাম ওরফে সোনা শফির সঙ্গে। সোনা শফি এবং গোল্ডেনের মনিরের মধ্যে সখ্য গড়ে ওঠে। তৈরি হয় ভালো বোঝাপড়া। দুইজন রাজত্ব শুরু করেন স্বর্ণ চোরাচালানের রাজ্যে। শফির সান্নিধ্য পেয়েই মনির হোসেন বনে যান ‘গোল্ডেন মনির’।

সেই সোনা শফি এখন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিল। রাজধানীর উত্তরা, দক্ষিণখান ও উত্তরখানের আমাইয়া, বড়বাড়ী, চামুরখান, কাঁচকুড়া, সড়বানঘাটা, ভাটুরিয়া, পলাশিয়া ও ছোট পলাশিয়া, পোড়াদিয়া, রাতুটি, ভারারদি, আক্তারটেক, বাওথার, বেতুলী, করিমের বাগ, দোবাদিয়া এলাকার মানুষের জনপ্রতিনিধি তিনি।

২০২০ সালের ২১ নভেম্বর সকালে রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এলাকায় ডিআইটি প্রজেক্টের ১৩ নম্বর রোডের নিজ বাসা থেকে র্যা বের হাতে আটক হন গোল্ডেন মনির। এরপর কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম আত্মগোপনে চলে যাওয়ার খবর আসে গণমাধ্যমে।

তবে তার আত্মগোপনে যাওয়ার খবরটি অস্বীকার করে ডিএনসিসি কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম বুধবার ঢাকা টাইমসকে জানান, তিনি তার নিজ ওয়ার্ডেই রয়েছেন। সেখানে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজ দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি যদি অপরাধ করি তাহলে এর বিচার আল্লাহর আদালতে হবে, বাংলার আদালতে হবে। আমি অপরাধী হলে দুইবার কাউন্সিলর হইতে পারতাম? বন্ধুবান্ধব যদি কেউ খারাপ হয়ে যায়, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে চলার কারণে যদি কারো বদনাম হলে কি করা যাবে? এটা হয়ে গেছে। আমার নামটাম কিছু আসছে। এখন আমি কি করব? মানুষের পায়ে ধরব যাইয়া?’

ঢাকা উত্তর সিটির ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের এ কাউন্সিলর বলছেন, করোনাভাইরাস ঠেকাতে চলমান লকডাউনের মধ্যে তার ওয়ার্ডের মানুষের জন্য কাজ করছেন তিনি। সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও নাগরিকদের তিনি সহযোগিতা করা চলেছেন।

ঢাকা টাইমসকে শফিকুল বলেন, ‘আজকেও (বুধবার) বাসা থেকে বের হয়ে দেখি অন্তত দুইশ দুঃস্থ মানুষকে একশ টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছি। আমি নিজ উদ্যোগে প্রতিদিনই এভাবে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি।’

(ঢাকাটাইমস/১৩মে/কারই/ডিএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
চাঁদা না দেওয়ায় পল্লবীতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলা, গুলিবর্ষণ – গ্রেপ্তার ৩
ছন্দে ফিরলেন লিটন, সমতায় ফিরল টাইগাররা
১২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১০৭ কোটি মার্কিন ডলার
নিবন্ধন স্থগিত হলেও ইসির তফসিলে থাকছে ‘নৌকা’, অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে না ‘শাপলা’
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা