মাষকলাই চাষে কম খরচে বেশি লাভ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৪ নভেম্বর ২০২১, ১৩:৩০
অ- অ+

মাষকলাই মূলত এক ধরনের ডাল জাতীয় শস্য। মাষকলাই চরাঞ্চলের জনপ্রিয় শস্য। মাষকলাইয়ে তেমন পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। এক বিঘা জমিতে খরচ হয় মাত্র এক হাজার টাকা। খরচ কম লাভ বেশি হওয়ায় কুড়িগ্রামের কৃষকরা মাষকলাই চাষে ঝুঁকচ্ছেন।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সদরে মাষকলাই চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬০ হেক্টর জমিতে। তবে অর্জিত হয়েছে ৬৫ হেক্টর জমিতে অথাৎ ৫ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জমি তৈরি না করেও মাষকলাই চাষ করা যায়। চাষ করার পর থেকে পরিপক্ব হতে সময় লাগে দুই থেকে আড়াই মাস। এক বিঘা জমিতে মাসকলাই উৎপাদন হবে চার-পাঁচ মণ। প্রতি মণ মাষকলাই বাজারে বিক্রি হয় তিন-চার হাজার টাকা।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের সিতাই ঝাড় গ্রামের আজগার আলী বলেন, ‘আমি পাঁচ বিঘা জমিতে মাষকলাই চাষ করেছি। এই আবাদে খরচ নাই বললে চলে। সবমিলিয়ে এক বিঘা জমিতে খরচ হবে এক হাজার টাকার মত। শুধু জমিতে ছিটিয়ে দিলে হয়, কোন পরিচর্যা করা লাগে না।’

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর গ্রামের রহমতুল্লাহ বলেন, ‘আমি প্রতি বছরেই মাষকলাই আবাদ করি। তার কারণ খরচ একেবারেই নেই। সামান্য কিছু খরচ হয়।’

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, ‘মাষকলাই খুবই লাভবান শস্য। চরাঅঞ্চলে সবচেয়ে বেশি চাষাবাদ হয় এ ফসল। চাষীরা ভালো লাভবান হচ্ছেন। জমি চাষ না করেও পরিত্যক্ত জমিতে মাষকলাই চাষ করা যায়।’

(ঢাকাটাইমস/৪নভেম্বর/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
২০৩০ সালের মধ্যে ১৫০ পৌরসভায় শেষ হবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ: অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী
উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মাথায় বোতল মারল কে?
কিছু ঘটলেই যমুনায় যাওয়ার প্রবণতা সহ্য করা হবে না: উপদেষ্টা মাহফুজ 
সিলেট থেকে ৪১৮ যাত্রী নিয়ে মদিনায় গেল প্রথম হজ ফ্লাইট
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা