গর্ভবতীরা যেসব খাবার ভুলেও খাবেন না

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৪ নভেম্বর ২০২১, ০৯:৫৪| আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২১, ১০:৩৫
অ- অ+

গর্ভাবস্থাকালীন সময় প্রত্যেক মহিলার কাছেই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় হাসিখুশি থাকা যেমন জরুরি তেমনই সাবধানে থাকাও ভীষণ জরুরি। গর্ভাবস্থায় অন্যান্য সময়ের থেকেও খাবার নিয়ে অনেক বেশি সচেতন হতে হয়। কারণ মায়ের খাবার থেকেই গর্ভের শিশু পুষ্টি পায়। গর্ভাবস্থায় সব নারীর মানসিক ও শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার মধ্য দিয়ে যান। বিশেষ করে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে কিংবা কখনো পেটে ব্যথা সহ মেজাজ পরিবর্তন এসব সমস্যা সবসময়ই দেখা যায়। তাই এ সময় গর্ভবতীদের উচিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে এমন কোনো খাবার খাওয়া ঠিক নয়।

আনারস

গর্ভবতীরা আনারস খাবেন না। আনারসে ব্রোমেলাইন থাকে, এটি একটি এনজাইম যা প্রোটিনকে ভেঙে দেয়। গর্ভপাত ঘটাতে পারে এই ফল।

ক্যাফেইন জাতীয় খাবার

ক্যাফেইন জাতীয় খাবার অর্থাৎ কফি, কোল্ড ড্রিঙ্ক এই ধরনের খাবার থেকে গর্ভবতী মহিলাদের দূরে থাকতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

প্রসেস ফুড

গর্ভাবস্থায় প্রসেসড বা জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলাই ভালো। যে খাবারে অতিরিক্ত কৃত্রিম ভিটামিন দেওয়া থাকে বা ভাজা অবস্থায় স্টোরড থাকে তেমন খাদ্য না খাওয়াই ভালো।

হাফ বয়েল ডিম

গর্ভকালীন সময়ে হাফ বয়েল ডিম না খাওয়াই ভাল। এতে গর্ভবতীর মায়ের স্বাস্থ্যের উপরে প্রভাব পড়ে। হাফ বয়েল ডিমে পেটে ব্যথা, বমি ভাব, জ্বর ইত্যাদি হতে পারে। এ ছাড়া কেক, মেওনিজ অর্থাৎ যেসব খাদ্যে কাঁচা ডিম ব্যবহার করা হয় তা না খাওয়াই শ্রেয়।

সামুদ্রিক মাছ পেঁপে

সামুদ্রিক মাছ ও পেঁপে এড়িয়ে চলুন। সামুদ্রিক মাছে পারদ জাতীয় পদার্থ থাকায় তা গর্ভের শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে। পাশাপাশি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য কাঁচা বা আধ পাকা পেঁপে খাওয়াও বিপজ্জনক। এতে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে।

তেঁতুল

তেঁতুল এড়িয়ে চলুন। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে এটি দেহে প্রোজেস্টেরনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয় এবং প্রোজেস্টেরনের স্তরের কমলে গর্ভপাতের আশঙ্কা থাকে।

মিষ্টি

মিষ্টির বদলে কিসমিস, খেজুর, ফল খেতে পারেন। নোনতার বদলে বাদাম, কাজু, পেস্তা ইত্যাদি খান।

মিষ্টি, ভাজাভুজি, মশলাদার খাবার কম খান। তবে পছন্দের খাবার পুরো বন্ধ করে দিলে স্ট্রেস মা ও সন্তানের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। কাজেই ব্যালান্স করে সব খাবারই খান।

অতিরিক্ত খাবার

অতিরিক্ত কোনও খাবারই খাবেন না। এতে ভাবী মায়ের ওজন বাড়ে। পাশাপাশিডায়াবিটিস, প্রেশার ও আরও কিছু জটিলতা বাড়তে বাড়ে।

অতিরিক্ত আবেগ, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, ভয়, রোগ-শোক ইত্যাদি গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর, তাই এসব এড়িয়ে ভালো চিন্তা করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন করা যাবে না। পানিশূন্যতা রোধে স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক পরিমাণে পানি পান করতে হবে। সব ধরনের ঝুঁকি এড়াতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া দরকার।

(ঢাকাটাইমস/২৪নভেম্বর/আরজেড/এজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
নিহতের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ: মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় হাইকোর্টের রুল
উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে বিএমএসএফ
বিমান বিধ্বস্ত: নিহত বেড়ে ৩২, আইসিইউতে মারা গেল ৯ বছরের শিশু নাফি
ড. ইউনূসের পাশে বিএনপি-জামায়াতসহ চার দল, ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের ডাক
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা