ঢাবির বটতলা পুনরায় গর্জে উঠবে: ইনু
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বটতলায় আমি ছাই উড়িয়ে দেখি এখনো দুই একটা আগুনের ফুলকি আছে। এই বটতলা আবার জাতির বিবেক হয়ে সাম্প্রদায়িকতা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে।’
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (জাসদ) ২৯তম কেন্দ্রীয় সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।
জাসদ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আহসান হাবিব শামীম এবং সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল হক ননীর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট রবিউল আলমসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসানুল ইনু বলেন, ‘এই বটতলা দেখলে মনে হয়- এটি ছাত্র আন্দোলনের ধ্বংসস্তূপ, পুরাকীর্তি। শিক্ষকরা আছেন কিন্তু কথা বলেন না, নীরব। ছাত্র সংগঠন আছে কিন্তু রাজনৈতিক ক্ষমতার ভাগিদার হওয়ার পেছনে ছুটছে। জাতি আজ নীরব বটতলা দেখতে চায় না। জাতি চায় ছাত্র-শিক্ষকরা জাতির বিবেক হবে। তারা কথা বলবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, শোষণের বিরুদ্ধে।’
সাবেক তথ্যমন্ত্রী ইনু বলেন, ‘আমার জীবনে দুটি যুদ্ধ করেছি, একটি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে এবং আরেকটি স্বৈরাচারী এরশাদের বিরুদ্ধে। এই যুদ্ধে বিজয় লাভ করলেও গণতন্ত্রের ওপর এখনো হামলা চলছে, এখনো আমরা বিপদের ভেতরেই আছি। এখন লড়াই চলছে স্বাধীনতাকে সংহত করার জন্যে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে।’
জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার বলেন, ‘গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে আমরা স্বৈরাচারী এরশাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। আমরা আন্দোলন করে ডা. মিলন, রওফুন বসুনিয়াসহ অনেককেই হারিয়েছি। কিন্তু গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারেনি। আজকের বাংলাদেশ চৌদ্দ দলের নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আমরা যে সাম্প্রদায়িক, শোষণহীন সমাজের স্বপ্ন দেখেছিলাম তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানের চার মূলনীতি এখনো পুরোপুরিভাবে প্রতিষ্ঠিত নয়, সেই কারণেই আজও মুক্তিযুদ্ধ অসম্পূর্ণ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) নেতাকর্মীদের প্রতি আমার আহ্বান, দেশের যেকোনো জায়গায় কোনো সাধারণ মানুষের কিংবা ছাত্রের বিপদে যোদ্ধার মতো এগিয়ে যেতে হবে।’
(ঢাকাটাইমস/১৮ডিসেম্বর/আরএল/জেবি)