ধর্ষণের ভিডিও রেখে প্রচারের হুমকি, যুবক গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ধর্ষণের পর ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে লুৎফর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২ সদস্যরা। এছাড়া গ্রেপ্তার যুবক ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিপুল অংকের নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত লুৎফর রহমান উপজেলার চিতেশ্বরী গ্রামের ময়নুল হকের ছেলে।
মঙ্গলবার সকালে ওই নারী মির্জাপুর থানায় লুৎফর রহমানের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পনোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে মির্জাপুর থানা পরিদর্শক (তদন্ত) গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গ্রেপ্তার লুৎফুর রহমান পাশের সখিপুর উপজেলায় একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। চাকরির সুবাদে ওই নারীর পাশাপাশি বাসায় ভাড়া থাকতেন। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে কৌশলে দৈহিক সম্পর্কে জড়ান তারা। একপর্যায়ে লুৎফর কৌশলে শারীরিক মেলামেশার চিত্র ফোনে ভিডিও ধারন করেন।
পরে এই ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এছাড়া একই ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে নগদ ২০ লাখ টাকা এবং ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয়। পরে ওই নারী নিরুপায় হয়ে টাঙ্গাইল র্যাব-১২ কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগের সত্যতা পেয়ে র্যাব-১২, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইলের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে সোমবার সন্ধ্যায় র্যাব সদস্যরা উপজেলার পাকুল্লা এলাকা থেকে লুৎফরকে গ্রেপ্তার করে। লুৎফরের ফোন থেকে ধারণকৃত ভিডিও ও ছবি এবং একটি মোটরসাইকেল, একটি ল্যাপটপ ও নগদ প্রায় পাঁচ হাজার টাকা উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. গিয়াস উদ্দিন, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলার পর গ্রেপ্তার যুবককে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১১জানুয়ারি/কেএম)