ছিনতাইকারীদের প্রধান টার্গেট পথচারীদের মোবাইল ফোন

ছিনতাইকারীদের প্রধান টার্গেট থাকে পথচারীদের মোবাইল ফোন বলে জানিয়েছে র্যাব। এই চক্রটি এসব মোবাইল স্বল্পদামে চোরাই মোবাইল কারবারিদের কাছে বিক্রি করে থাকে। র্যাবের ভাষ্যমতে, এসব মোবাইল স্বল্প আয়ের গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করে থাকে।
রাজধানীর শাহবাগ, যাত্রাবাড়ী, কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে মোবাইল চোর চক্রের ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে সাতটি ট্যাব, ২৪২টি টাচ মোবাইল, ৩৯০টি বাটন মোবাইল, একটি আইপ্যাড, ২৪ টি সিমকার্ড ও নগদ ৩৩ হাজার ৯৫২ টাকা উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-৩ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) বীণা রানী দাস স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, তারা মূলত ছিনতাই বা চোরাই করা মোবাইল ফোন অল্প দামে কেনে। পরে ওই মোবাইল সুযোগ বুঝে বেশি দামে বিক্রি করে। গ্রেপ্তারকৃতরা প্রত্যেকেই মুঠোফোন ছিনতাই বা চোর চক্রের সদস্য। এছাড়াও চোরাই ও ছিনতাই করা মোবাইল কেনা-বেচার সাথে জড়িত।
র্যাবের ভাষ্যমতে, বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ডাকাতি করা, ছিনতাই করা ও চোরাইমাল বিক্রি ও নিজেদের কাছ রাখা আমলযোগ্য অপরাধ। দীর্ঘদিন ধরে গ্রেপ্তারকৃতরা নির্বিঘ্নে নির্ভয়ে চোরাই মোবাইলের অবৈধ ব্যবসা করে যাচ্ছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- মো. আক্তার হোসেন খান, মো. লিটন, মো. ফরহাদ হোসেন, মো. দিদার, মো. মিজান, মো. রাশেদ ঢালি, মো. হাদিদ ইকবাল, মো. রতন মোল্লা ওরফে সোহেল, মো. আব্দুস সালাম ওরফে কাল্লু, মোহাম্মদ আলী, মো. দ্বীন ইসলাম, মো. খোকন, মো. মামুন, জয়নাল, মো. সুমন, মো. হরুন, মো. রনি সরদার এবং মো. আবুল বাসার।
র্যাব জানতে পারে যে, মোবাইল চোর সিন্ডিকেট চক্র ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ মোবাইল কেনা-বেচার বাণিজ্য নিয়ে তৎপর রয়েছে। এই চক্রটি এসব মোবাইল ফোন বিভিন্ন মার্কেটের সামনে ভাসমান দোকানে গোপনে বিক্রি করে আসছে। এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে চুরি এবং ছিনতাই করা মোবাইল ফোনের ছিনতাইকারী চক্র সুকৌশলে নানা সিন্ডিকেট হোতার সঙ্গে যোগসাজশে এসব চোরাই মুঠোফোন কেনা-বেচায় জড়িত রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/৩১মে/এএ/কেএম)

মন্তব্য করুন