শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভ চলমান রাখার ঘোষণা

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বুধবার (২০জুলাই) শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হলো গুরুত্বপূর্ণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচনে পার্লামেন্ট সদস্যদের বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন রনিল বিক্রমাসিংহে। কিন্তু রাজাপাকসে পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বলে রনিল দেশটির জনগণের কাছে অজনপ্রিয়। তাই বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। খবর আল-জাজিরার।
বিজয়ী হয়ে পার্লামেন্টে দেওয়া বিজয়ী ভাষণে রনিল বলেছেন, আমাদের মধ্যে এখন আর কোনো বিভক্তি নেই। সংকটে জর্জর শ্রীলঙ্কার বিভক্তির অবসান হয়েছে। তবে নতুন প্রেসিডেন্ট বিভক্তি অবসানের কথা বললেও বাস্তবতা ভিন্ন। বিক্রমাসিংহে নির্বাতি হওয়ার পর বিক্ষোভকারীরা তাদের ভবিষ্যত কৌশল নিয়ে আলোচনা করছে বলে বিক্ষোভকারীদের নেতা মেলানি গুনাথিলাকে আল জাজিরাকে জানিয়েছেন। বক্তব্যে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।
মেলানি গুনাথিলাকে বলেন, আমরা বর্তমানে আমাদের কৌশল নিয়ে আলোচনা করছি এবং পুনর্গঠন করছি। রনিল বিক্রমাসিংহে পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা অবশ্যই গোতাগোগামাতে (বিক্ষোভস্থল) আমাদের বিক্ষোভ চালিয়ে যাব। আমরা অবশ্যই এ রকম চাইনি।
তিনি আরো বলেন, আমরা ভালো করেই জানি, গোতাবায়া আর রনিল বিক্রমাসিংহে একই লোক নন। তিনি (বিক্রমাসিংহে) আরও ধূর্ত লোক। সম্প্রতি তিনি জরুরি অবস্থা জারি করে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। তিনি গোতাগোগামায় বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার পাঠিয়েছেন। কিন্তু আমি মনে করি না, এসবে মানুষ আর ভয় পাবে। শ্রীলঙ্কার এমন নেতা পাওয়ার যোগ্যতা রাখে, যিনি নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের চেয়ে দেশের জনগণের বিষয়ে যত্নবান হবেন।
রনিল বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে রাজাপাকসেদের সঙ্গে আঁতাত করার অভিযোগ উঠেছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাজাপাকসেদের দল শ্রীলঙ্কান পদুজানা পেরামুনা তাকে সমর্থন দেয়। ফলে নতুন প্রেসিডেন্ট পেলেও দেশটির পরিস্থিতি শান্ত হবে বলে মনে করছেন না আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
(ঢাকাটাইমস/২০জুলাই/এসএটি)

মন্তব্য করুন