সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানিতে রাষ্ট্র নির্বিকার: জেএসডি
সরকারের অবহেলাজনিত কারণে সড়কে নৈরাজ্যে প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষের মৃত্যু ঘটলেও রাষ্ট্রের ‘নির্লিপ্ততা’ এবং ‘অগ্রহণযোগ্য সিস্টেমের’ সমালোচনা করে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেছেন, ‘সরকার যদি লাইসেন্সবিহীন অদক্ষ চালক এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল বন্ধ করার কর্তব্য পালন করতো তাহলে অসংখ্য মানুষের মূল্যবান জীবন বিপন্ন হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হতো না।
সোমবার (২০ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জেএসডি নেতারা এসব বলেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, প্রতিদিন দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু হচ্ছে,,কত পরিবারের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যাচ্ছে এবং কত সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে তারপরও সরকার দুর্ঘটনা রোধে ন্যূনতম কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। বরং লাইসেন্সবিহীন চালক ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি প্রতিনিয়ত পুলিশ বা সড়ক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চোখের সামনে দিয়ে চলাচল করছে এবং ফলতঃ প্রতিনিয়ত মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এতে সড়ক নিরাপদ করতে সরকারের কোন আগ্রহ নেই শুধু তারই প্রমাণ হয় না বরং সরকারের অস্তিত্বাই সন্দিহান হয়ে পড়ে।
নেতৃদ্বয় বলেন, গত ১৫ বছর ধরে একনাগাড়ে ক্ষমতা থাকার পরও সরকার লাইসেন্সবিহীন চালক এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করার ন্যূনতম কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি, বরং সড়ক পরিবহনের নৈরাজ্যকেই প্রশ্রয় দিয়েছে। ফলে সড়কে বাণিজ্য হচ্ছে কিন্তু সড়ক নিরাপদ হচ্ছে না।
মানুষ হত্যা অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য
১) সড়ক পরিকল্পনায়, নকশায়, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচালনা ও তদারকিতে অতি দ্রুত শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।
২) অনুমোদনবিহীন চালক এবং ফিটনেস বিহীন গাড়ি চলাচলে দায়ীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
৩) চালকের লাইসেন্স এবং ফিটনেস দেয়ার প্রক্রিয়া দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে।
৪) ১৫-১৬ লাখ দক্ষ চালকের ঘাটতি রেখে নতুন গাড়ি অনুমোদনের ন্যায় সর্বনাশা পদক্ষেপ সাময়িকভাবে বন্ধ করতে হবে। স্বঘোষিত চালক সৃষ্টিকে কঠোরভাবে দমন করতে হবে।
বছরে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু এবং ১৫ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে সরকারের অবহেলা কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
(ঢাকাটাইমস/২০মার্চ/জেবি/)