সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক

দিনাজপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:০২
অ- অ+

জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ও দিনাজপুর সদর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম, তার স্ত্রী, দুই কন্যা ও এক ছেলের নামে-বেনামে বিগত সময়ে ক্রয়কৃত সম্পদের দলিলপত্র অনুসন্ধান করে অনুলিপি প্রদানের জন্য জেলা রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর জেলা রেজিস্ট্রার মো. সাজেদুল হক। তিনি বলেন, গত ৬ নভেম্বর বিকালে ডাকযোগে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশপত্র দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সদর দপ্তর ঢাকা থেকে প্রাপ্ত হয়েছেন।

নির্দেশপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, দিনাজপুর সদর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম, তার স্ত্রী নাদিরা সুলতানা, দুই কন্যা ইশরাক মারজিয়া ও রাইসা মুমতাহিনা এবং এক পুত্র রাফিদুর রহিমের নামে-বেনামে দিনাজপুর সদর ও জেলার অন্য উপজেলাগুলোতে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে কোনো জমি, অবকাঠামো, মিল, কারখানা বা অন্য কোনো মূল্যবান সম্পদ ক্রয় করা হয়ে থাকলে ওই দলিলের অনুলিপি অনুসন্ধান পূর্ব তথ্য প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সূত্রটি জানায়, দুদক সদর দপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশিত পত্র পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার থেকে দুজন অফিস সহকারীকে এ অনুসন্ধান কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে। তারা বিগত সরকারের সময়ে নির্দেশ অনুযায়ী জেলা রেজিস্টার অফিসে সংরক্ষিত বালাম বহি অনুসন্ধান করবেন। অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য পাওয়া গেলে দুদক সদর দপ্তরে পাঠাবেন।

প্রেরিত পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তার অবৈধ ক্ষমতার অপব্যবহার, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ পূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সাবেক এই হুইপের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের জন্য দুদক সদর দপ্তরের পরিচালক সৈয়দ তাহসিনুল হককে প্রধান সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলীকে সদস্যসচিব ও উপ-সহকারী পরিচালক আতিকুর রহমান খানকে সদস্য করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে দিনাজপুর সমন্বিত জেলা দুদক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘এ অনুসন্ধানটি দুদক সদর দপ্তর থেকে চালানো হচ্ছে। দিনাজপুর জেলায় তাদের অনুসন্ধানে এ কার্যালয় থেকে কোনো সহযোগিতা চাওয়া হলে তা করা হচ্ছে।’

সূত্রটি জানায়, গত সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম থেকে দুদক অনুসন্ধান টিম কাজ শুরু করেছেন। তারা ঢাকায় ইকবালুর রহিমের নিজের নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে বাসা, একাধিক ফ্ল্যাট ও বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল জমাকৃত অর্থ এবং এফডিআরের তথ্য পেয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/০৮নভেম্বর/এজে)

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
গিনিতে ফুটবল মাঠে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, নিহত প্রায় ১০০
আমু-কামরুলকে বুধবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় নিয়ে বড়োসড়ো প্রশ্ন সোহেল তাজের
রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা