আলফাডাঙ্গায় ঈদের কেনাকাটা, দাম বেশি হওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা

মো. মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১০ এপ্রিল ২০২৩, ১৩:৩২

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় জমে উঠেছে ঈদ বাজার। নিজের কিংবা প্রিয়জনের জন্য পছন্দের কেনাকাটা করতে উপজেলার সদর বাজারের ফুটপাত থেকে শুরু করে বিপণিবিতানগুলোতে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কেনাকাটা করতে দূর-দূরান্ত থেকে এখানে ছুটে আসছেন অনেকে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার পোশাক থেকে প্রসাধনী সব কিছুরই দাম বেশি। একই ধরনের পোশাক ও প্রসাধনী গত বছরের তুলনায় এবার ৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বেশি দাম চাচ্ছেন বিক্রেতারা। এতে পছন্দের জিনিসটি কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দেশি পোশাকের চেয়ে এবার ভারতীয় পোশাকের চাহিদা বেশি। তবে দেশি-বিদেশি সব পোশাকের দাম বেশি হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন, বেশি দামে কেনায় বিক্রিও বেশি দামে করতে হচ্ছে।

সদর বাজারে ফুটপাত থেকে পোশাক কেনেন উপজেলার বাকাইল এলাকার ভ্যানচালক শফিকুল ইসলাম। আলাপকালে তিনি বলেন, ‘ভাতিজারে নিয়ে বড় দোকানে গেছিলাম, সেই জাগায় ভাতিজা যে জামা পছন্দ করছে তা দোকানদার ৭০০ টাহা চায়। ৫০০ টাহা কলাম, দেলো না। পরে তারে অনেক বুঝোয়-শুনোয় ফুটপাত থেকে জামা কিনে দিছি। এবার ফুটপাতেও দাম অনেক বেশি।’

উপজেলার চরডাঙ্গা এলাকার রহিমা বেগম তার ছেলেমেয়েকে নিয়ে পোশাক কিনতে গিয়েছিলেন সদর বাজারের একটি কাপড়ের বড় দোকানে। সেখানে পোশাক পছন্দ হলেও দাম বেশি হওয়ায় কিনতে পারেননি। পরে মন খারাপ করে ফুটপাতে এসে পোশাক কিনেছেন।

সদর বাজারের বেশ কিছু দোকান ঘুরে দেখা গেছে, এবার তরুণীরা মুম্বাইয়ের নায়রা, কলকাতার গাউন, কাতান, গুলজার ও থ্রি-পিসে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ছেলেদের পছন্দ ভারতীয়, পাকিস্তানি ও খদ্দরের পাঞ্জাবি, দেশীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের টি-শার্ট, কাতুয়া ও জিন্স প্যান্ট। শিশুদেরও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পোশাকের দিকে ঝোঁক লক্ষ্য করা গেছে।

বিপণিবিতানগুলোতে ভিড় থাকলেও বেচাকেনা কম বলে দাবি বিক্রেতাদের। ক্রেতারা বলছেন, সব কিছুর দাম বেশি। গত বছরের তুলনায় প্রতিটি পণ্য বাড়তি টাকা দিয়ে ক্রয় করতে হচ্ছে। দাম বেশি দেখে অনেকে ফিরেও যাচ্ছেন।

আল-মদিনা বস্ত্র বিতানের মালিক রাজীব ইসলাম বলেন, বিক্রি কম হলেও রমজানের মাঝামাঝি সময়ে এসে ক্রেতার ভিড় বাড়ছে। একই ধরনের কথা বলেন কলেজ রোডের গাংচিল ব্র্যান্ড কালেকশনের মালিক শামিম তালুকদার।

বাজারের কাপড়পট্টিতে পরিবার নিয়ে কাপড় কিনছিলেন স্কুলশিক্ষক কামাল হোসেন। আলাপকালে তিনি বলেন, রমজানের শেষ দিকে অনেক ভিড় থাকে। এ জন্য এখনই পোশাক কিনে রাখছি। তবে পোশাক কিনতে যে টাকা নিয়ে আসছি, তাতে বাচ্চাদের পোশাক কিনে নিজেদের জন্য কিছু কিনতে পারব কি-না জানি না।

পৌরসভার বাসিন্দা মিনহাজ হোসেন বলেন, বাজার তদারকি না করা হলে ঈদ বাজারে ক্রেতারা ঠকবেন। বাজারের ব্র্যান্ডের শোরুমগুলোতে দাম বেশি রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ক্রেতারা।

আলফাডাঙ্গা বস্ত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সাতরং গার্মেন্টসের মালিক মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘ব্র্যান্ডের পোশাকের দাম বেশি। বাজারে সব শ্রেণির মানুষের কেনাকাটার ব্যবস্থা রয়েছে। আর্থিক সুবিধামতো ফুটপাত ও ভাসমান দোকানে গিয়েও পছন্দের পোশাক কিনতে পারছেন সবাই।’

(ঢাকাটাইমস/১০এপ্রিল/এমআই/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :