পাঁচ বছরে রাজধানী থেকে ‘নাই’ হয়ে গেছে ৭১ পুকুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৪ মে ২০২৩, ১৭:২০ | প্রকাশিত : ০৪ মে ২০২৩, ১৫:৩৪

২০১৮ সালেও রাজধানীতে ১০০টি পুকুর জলাশয় ছিল। গেল পাঁচ বছরে নানান উন্নয়ন কাজের জন্য ভরাট হয়েছে একের পর এক পুকুর। কমতে কমতে তা এখন দাঁড়িয়েছে মাত্র ২৯টিতে। যার ফলে রাজধানীতে কোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পানির যোগানে পেতে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে। এ অবস্থায় জলাশয়গুলো রক্ষা করার তাগিদ দিয়েছেন বাহিনীর মহাপরিচালক।

পুকুর-খাল-বিলসহ জলাশয়ের গুরুত্ব অপরিসীম উল্লেখ করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতি কমাতে রাজধানীর জলাশয়গুলো রক্ষা করতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত 'বারবার অগ্নিদুর্ঘটনার কারণ: প্রতিরোধে করণীয়' শীর্ষক নগর সংলাপে তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, গত ২০১৮ সালের সালের জরিপে রাজধানীতে ১০০ পুকুর থাকলেও বর্তমানে মাত্র ২৯টি পুকুর রয়েছে। পুকুরগুলো ভরাট করে এই জায়গার ওপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। পুকুরগু‌লো মা‌লিকানা সম্প‌ত্তি হ‌লেও এটা রা‌ষ্ট্রীয় সম্পদ। কারণ এই পুকু‌রের মাধ‌্যমে আ‌শেপা‌শের কোথাও অগু‌নের ঘটনা ঘট‌লে এই পুকু‌রগুলো ওয়াটার সোর্স হিসেবে কাজ করে।

সম্প্রতি বিভিন্ন মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, মার্কেটগুলোতে অধিক দোকান বসানোর প্রবণতা দেখা দেয়। দেখা গেলো একটি মার্কেটে ১০০ দোকানের অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু সেখানে বেশি লাভের আশায় দোকানগুলো ছোট করে ২০০ দোকান করা হচ্ছে। ফলে সেখানে সেখানে ১০০ দোকানের বিদ্যুৎ সাপ্লাইয়ের ক্যাপাসিটি সিস্টেম থাকলেও সেই একই লাইনে ২০০ দোকানের সাপ্লাই দেওয়া হয়। যা বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে অন্য অনেক সেবা নিশ্চিতে পিছিয়ে থাকে। ফলে লোডের কারণে ক্যবলগুলো হিট হয়ে গলে যায় এবং আগুনের ঘটনা ঘটে।

অগ্নিদুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে নিম্নমানের ই‌লে‌ক্ট্রিক পণ‌্যব‌্যবহার না করে ভা‌লো মা‌নের ই‌লে‌ক্ট্রিক পণ‌্য ব‌্যবহার ও অন্তত ৬ মাস অন্তর অন্তর ই‌লে‌ক্ট্রিক সাপ্লাই‌য়ের লাইন চেক করার তাগিদ দেন তিনি।

তিনি আরও ব‌লেন, হিট অ‌ক্সি‌জেন এবং ফু‌য়েল একজায়গা হ‌লেই আগু‌নের সূত্রপাত তৈ‌রি হয়। গত ২০১৭ সা‌লের জরিপে রাজধানীতে ১১৯১ টি ঝুঁ‌কিপূর্ণ ভবন ছিল। আমরা ঈ‌দের আ‌গে পূর্বের ঝুঁ‌কিপূর্ণ ভবনের ৯৮টি ভবন হালনাগাদ ক‌রে দেখতে পেয়েছি ৩৫টি ভবনই অ‌তি ঝুঁ‌কিপূ‌র্ণে চ‌লে গে‌ছে।

আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক নগর পরিকল্পনাবিদ ড. আকতার মাহমুদ, ডুয়েটের ডিপার্টমেন্ট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভা‌গের অধ‌্যাপক ড. মো. রাজু আহমেদ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেইন্স) লে. কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা ওয়াসা প্রধান প্রকৌশলী কামরুল হাসান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম, বাংলাদেশের সভাপতি অমিতোষ পাল। কি-নোট উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. মেহেদী আহসান।

(ঢাকাটাইমস/০৪‌মে/কেআর/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজধানী এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :