স্বামী পালিয়ে গেলেও আমাকে খুঁজে দিতে বলে, ভোটের প্রচারে গিয়ে শতাব্দী
পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন টলিউডের এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা এবং বর্তমানে তৃণমূলের সংসদ সদস্য শতাব্দী রায়। বুধবার বীরভূমের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের একাধিক গ্রামে সভা করেন শতাব্দী। যান ভদ্রপুর গ্রামেও। সেখানে তিনি নানাভাবে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করেন।
শতাব্দী বলেন, ‘এখানে অনেকেই আছেন যারা প্রায়ই ফোন করে বলেন। গরু হারিয়ে গেলেও খুঁজে দিতে বলেন।’ অভিনেত্রী বলেন, ‘গরু হারানোর কথা কিন্তু পঞ্চায়েতকে বললে হবে না। পঞ্চায়েতের যে কাজ সেটাই করবে।’
শতাব্দী বলেন, ‘কিছুদিন আগে এক মহিলা এসে কান্না শুরু করলেন। বললেন, তার স্বামীকে ফেরত আনতে হবে। আর একটা মেয়ের সঙ্গে নাকি চলে গেছে। কোথায় কোথায় গেছে সবই বললেন। আমি বললাম, যদি স্বামীকে এনেও দেই তবে সেই স্বামীকে নিয়ে আপনি করবেনটা কী?’
অভিনেত্রীর কথায়, ‘যে অন্য মেয়ের সঙ্গে চলে গেছে, সে আপনাকে ভালোবাসেনা। আপনার সঙ্গে থাকতেও চায় না। কিন্তু বার বার মহিলা বলছিলেন, ভালো না বাসলেও হবে। ওই স্বামীকেই চাই। আমি তখন পুলিশকে ডেকে বললাম। এনার স্বামী কোথায় গেছে, পারলে খুঁজে দিন।’
শতাব্দী এও বলেন, ‘ভোট দিয়ে বললেন স্বামীকে খুঁজে আনতে পারলেন না, এটা কিন্তু হবে না। প্রতিশ্রুতি যেটা দেয়া হচ্ছে সেটা পালন করা হচ্ছে কি না, প্রার্থীরা সেগুলো করছে কি না সেটা দেখতে হবে। ৭ তারিখ রাতের বেলা হাত গুনে দেখবেন আপনার ছেলেমেয়ে দল থেকে কী পেয়েছে, আপনি দল থেকে কী পেয়েছেন, আপনার পরিবার দল থেকে কী পেয়েছে, আপনার স্বামী কৃষকবন্ধু পেয়েছে কি না, আপনি যে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন সেটা তৃণমূল করেছে কি না, যে পানিটা খাচ্ছেন সেটা তৃণমূল করেছে কি না। যে হাত দিয়ে এটা গুনবেন সেই হাত দিয়ে ৮ তারিখ তৃণমূলকে ভোটটা দিয়ে আসবেন।’
এদিন শতাব্দীর সভাতে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিকে প্রতিবারই বীরভূমে ভোট মানেই অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট মণ্ডলের দাপট। তবে তিনি এবার তিহার জেলে বন্দি।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বীরভূমের রাজনীতিতে শতাব্দী রায়ের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের কোনোদিনই বিশেষ বনিবনা ছিল না। নানা কারণে তাদের মধ্য়ে রাজনৈতিক দূরত্ব ছিল। তবে এবার অনুব্রতহীন কেষ্টগড়ে প্রচারে নেমেছেন তৃণমূলের একাধিক নেতানেত্রী। কথায় কথায় উঠছে দুর্নীতির প্রসঙ্গও।
(ঢাকাটাইমস/৬জুলাই/এজে)