পরচুলা পরে বিয়ে করতে এসে কনেপক্ষের ধোলাই
মাথাভর্তি টাক বরের। সেটি ডাকতেই পরচুলা পরে বসেছেন বিয়ের আসরে। পরচুলার আড়ালে গোপন করতে চেয়েছিলেন সত্য। কিন্তু বেশিক্ষণ তা পারেননি, নজরে পড়ে যায় কনে পক্ষের। তাতেই বরের ওপর চড়াও হয় কনে পক্ষ। সম্প্রতি এমন ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়, ঘটনাটি বিহারের গয়া জেলার। টুইটারে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, কনের পরিবারের সদস্যরা বরকে বেধড়ক মারধর ও গালিগালাজ করছে।
ভিডিওতে বরকে হাত জোড় করে অনুনয়-বিনয় করতেও দেখা যায়। তবে কনের পরিবার কোনো করুণা না দেখিয়ে তাকে মারধর করতে থাকে।
গয়ার ইকবালপুর এলাকার বাসিন্দা বর গয়ার ডোবি থানার আওতাধীন বাজাউরা গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে করতে গিয়েছিলেন। বিয়ের অনুষ্ঠানের সময় তিনি ‘সেহরা’ (বিয়েতে বরদের মাথায় পরচুলা) ব্যবহার করে তার টাক লুকানোর চেষ্টা করেছিলেন।
गया में पोल खुलने पर गंजे दूल्हे की जमकर धुनाई, नकली बाल लगाकर दूसरी शादी रचाने पहुंचा था शख्स। डोभी थाना अंतर्गत बजौरा गांव का है मामला। वीडियो सोशल मीडिया पर वायरल।#Gaya #ViralVideo #Bihar #BiharPolice pic.twitter.com/rGgvlkah8z
— Bihar Tak (@BiharTakChannel) July 11, 2023
যাহোক, কনের পরিবারের আগেই সন্দেহ ছিল বরের মাথার টাক নিয়ে। এথেকে বরের চুল টেনে ধরে তারা যার ফলে টাক মাথা বেরিয়ে আসে।
অগ্নিপরীক্ষার সময় যুবকটি বারবার হাত জোর করে ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে। তবে উপস্থিত লোকজন ক্ষমার মেজাজে ছিলেন না, যদিও কয়েকজন হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
ভিড়ের মধ্যে ক্ষোভ এই কারণেও জ্বলে ওঠে যে তিনি তার প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় বিবাহের ব্যবস্থা করেছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/১৩জুলাই/এসএটি)