ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচন সোমবার, কেন্দ্রে পৌঁছল সরঞ্জামাদি

পাচঁ মাসের জন্য এমপি নির্বাচিত করতে ঢাকা-১৭ আসন উপ-নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে সোমবার। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ চলবে। এরমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছেছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।

নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন ছাড়াও একই দিন দেশের মোট ৭৮টি পৌরসভা, ইউনিয়ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি অংশ নেয়নি। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও প্রার্থী দেয়নি।

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আটজন প্রতিদ্বন্দ্বী। এর মধ্যে তিন প্রার্থীকে এগিয়ে রাখছে স্থানীয় ভোটরা। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সিকদার আনিসুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল আলম (হিরো আলম)। তাদের তিনজনের মধ্যে মূল প্রতিযোগিতা হবে বলে ধারণা করছে ভোটাররা।

উপনির্বাচনে অংশ নেওয়া আটজন প্রতিদ্বন্দ্বীর অন্যরা হলেন, জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. তারিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো.রেজাউল ইসলাম স্বপন ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মো. আকবর হোসেন।

এ আসনের মোট ভোটার তিন লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ৫৩ হাজার ৫৮০। ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের ৬০৫টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে।

শনিবার সকালে নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ এবং মধ্যরাতে মোটরসাইকেল চালাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

রবিবার রাত ১২টার পর থেকে নির্বাচনী এলাকায় সাধারণভাবে ট্রাক, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার ও ইজি বাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

তবে মহাসড়কগুলো এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকছে। এ ছাড়া নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী এবং জরুরি সেবার কাজে ব্যবহৃত যানবাহনের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে।

রাজধানীর গুলশান, বনানী, ভাসানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসন। গত ১৫ মে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) মারা যাওয়ার পর আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।

রবিবার রিটার্নিং কর্মকর্তা মনির হোসেন খান বলেন, ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে এটি একটি মডেল নির্বাচন হবে। অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৬জুলাই/জেএ/কেএম)