নিরাপদ সড়কের দাবিতে বেনাপোলে মানববন্ধন

`নিরাপদ সড়ক চাই-মায়ের কোল শূন্য হওয়ার বিচার চাই-বেনাপোলে সড়ক পথের অব্যবস্থাপনার অবসান চাই‘-এ প্লাকার্ড বহন করে ট্রাক চাপায় ৭ম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী আনিকা আক্তার শরিফা নিহতের প্রতিবাদে বেনাপোল মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের ও বেনাপোল ডিগ্রী কলেজের শত শত শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন বেনাপোল-কলকাতা প্রধান সড়কে।

রোববার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এক বিশাল শোক র‌্যালি শেষে বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তারা।

এ সময় শিক্ষক, অভিভাবকসহ নিহতের পিতা আলমগীর হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা আমাদের সহপাঠীর মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি। আর যেন কোন মায়ের কোল শূন্য না হয়। নিরাপদ সড়কের দাবিতে সবাই আন্দোলনে নেমেছি। সরকারের কাছে আমাদের একটাই দাবি সরকার যেন আমাদের জন্য নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করে।

এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমজান আলী নিহত স্কুল ছাত্রীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, সড়ক সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবি জানান।

প্রতিবাদ সমাবেশে স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক ইনতাজুল ইসলাম জানান, বন্দরের জায়গা সঙ্কটের কারণে ভারতে রপ্তানিমুখী ট্রাক টার্মিনালটি এখন ক্রেন ও ফর্কলিফট এর গ্যারেজ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যার ফলে বেনাপোলের প্রধান সড়কটির ২ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে প্রতিনিয়ত রাখা হচ্ছে শত শত ট্রাক। সে কারণেই স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ও এলাকার সাধারণ মানুষেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হতে গেলে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন। আমরা বেনাপোল বন্দরের প্রধান সড়কে প্রতিদিনের এ তীব্র যানজটের প্রতিকার চাই। যাতে আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে। পাশাপাশি স্কুলের সামনে স্পীড ব্রেকার বসানোর দাবি জানান তিনি।

এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি ট্রাকে এর আগেও সড়ক দুর্ঘটনায় শিকার হয়ে অনেক প্রাণ ঝড়েছে। কিন্তু প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো প্রকার নজরদারি করছে না বলে অভিযোগ করেন তারা। টার্মিনাল নির্মাণ করা হলেও সড়কের উপরে বাস ট্রাক রেখে প্রতিনিয়ত যানজট তৈরি করছে একটি মহল।

(ঢাকাটাইমস/০৬ আগস্ট/ইএইচ)