হাসু আপা একাই এতো সাহস নিয়ে কীভাবে দেশ চালান

​এরশাদ উদ্দিন
  প্রকাশিত : ২১ আগস্ট ২০২৩, ২১:৩৫
অ- অ+

আমরা যদি সঠিক বিবেচনা করি তার সঙ্গে কারো তুলনা করা চলেনা। দক্ষিন এশিয়ার প্রভাবশালী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তৎকালীন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বড় সন্তান দেশের দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (হাসু আপার) জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়ায়। পারিবারিক থেকে হাসু আপার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা শুরু। শিক্ষাক বলেন অথবা পিতামাতার রক্তের কথাই বলেন, সেখান থেকেই শুরু। সন্তানের প্রথম পাঠশালা হয় তার নীজ পরিবার। হাসু আপা সিএনএন এর সাংবাদিক রিচার্ডের একটা প্রশ্নত্তোরে বলেছিলেন, আমি বাল্যকাল থেকেই দেখেছি এই দেশের কিছু মানুষ বাংলাদেশের ভালো চায়না। আমি সংক্ষেপে লিখছি অনুধাবন করার চেষ্টা করবেন। হাসু আপার বয়স যখন ৮ বছর তখন বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের সদস্য ( ১৯৫৫ থেকে ১৯৫৮ )। জাতীর পিতা ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি।

হাসু আপা ১৯৭৩ সালে স্নাতক লাভ করেন এবং ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্ধন্দ্বিতা করেন এবং কলেজ শাখার ছাত্রী সংসদের সভাপতি নির্বাচিত হন। ছাত্রলীগের রোখেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭১ সালে বঙ্গঁবন্ধুর আহ্বানে যখন দেশে মুক্তিযুদ্ধ হয় তখন হাসু আপার বয়স ২৪ বছর। উনি দেখেছেন বুঝেছেন এই দেশটি কার হাত দিয়ে স্বাধীন হয়েছে এবং কারা কারা এদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। এরমধ্যে বঙ্গবন্ধু দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। হাসু আপার বুঝার বয়স থেকে উনি দেখেছেন, জাতির পিতার রাজনৈতিক বর্ণীল জীবন , কতবার জেল খেটেছেন বঙ্গঁবন্ধু। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭১ সাল অনেক আন্দোলন সংগ্রামের অগ্র নায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু। এই যে বর্ণীল রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহন করা হাসু আপা, এবং হাসু আপার ছাত্র জীবন থেকেই শুরু হয় তার রাজনীতি। তাহলে উনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞার সঙ্গে কি তুলনা চলে? না চলেনা, কখনো চলেনা। এরি মধ্যে তার পিতাকে হত্যা করা হয় স্বপরিবারে। হাসু আপা তখন বিবাহিত। দেখেছেন মুস্তাকের মতো অনেক মীরজাফরের অভিনয়। অন্য একজন নেত্রীর (সাবেক প্রধানমন্ত্রী) রাজনৈতিক জীবনের কথা তুলে ধরছি। হাসু আপাকে তার সঙ্গে তুলনা করবো না,তুলনা চলেওনা।

১৯৪৫ সালে খালেদা জিয়ার জন্ম, তবে জন্মের সাল টিক আছে কিন্তু মাস ও দিনের টিক নাই। শুরুতেই যেখানে এলোমেলো। ১৯৬০ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে আর্মি অফিসার জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিবাহে আবদ্ধ হন। ১৫ বছর বয়স ছোট বয়স, খেলার বয়সে উনি বিয়ে করেছেন, ঘর সংসার করেছেন। রাজনীতি কিন্তু করেননি। আমলাদের সঙ্গে কখনো রাজনৈতিক পরিবারের সঙ্গে মিলেনা। তাদের সাহস ও জ্ঞান কখনো রাজনৈতিক পরিবারের মতো হয়না। ১৯৭০ সালে জিয়াউর রহমান আর্মির মেজর হন। একজন আর্মির মেজরের পরিবারে দেশের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি হয়ে দেশ চালাবেন সে চর্চা কখনো হয়না। কিন্তু বঙ্গবন্ধু দেশকে সোনার বাংলা করার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করেছেন। ১৯৭২ সালে জিয়াউর রহমান ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ ১৯৭৩সালে ব্রিগেডিয়ার এবং একই সালে জেনারেল পদোন্নতি পান। আপনার দেখুন এবং ভাবুন এ পরিবারে কখন এ দেশের জন্য রাজনীতি ও সাধারণ মানুষকে নিয়ে ভেবেছে। ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত জিয়াউর রহমান জাস্ট একজন অফিসার। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতীর পিতাকে হত্যার পিছনে যার হাত রয়েছে তাদের দ্বারা এদেশে ভালো কিছুই আশা করা যায়না। ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রপতি হন। ১৯৭৮ সালে রাজনৈতিক দল গঠন করেন স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিদের নিয়ে। ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমান মারা যান। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮১ এই তিন বছরে খালেদা জিয়া কি দেখেছেন এবং কি শিখেছেন। শিখেছেন শুধু কিভাবে হত্যা করে, ক্যু করে ক্ষমতায় আসা যায়। তাই শেখ হাসিনা এক এবং ভিন্ন।তার সঙ্গে কারো তুলনা হয় না। জাতির পিতার মেয়ে পিতার মতোই।

লেখক: করিমগঞ্জ পৌর মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, কিশোরগঞ্জ জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি, সাবেক ছাত্রনেতা ও সমাজসেবক।

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আ.লীগকে নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো: জামায়াত আমির
জামালপুরে মাদ্রাসায় ছাত্রী ভর্তিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
ইউনাইটেড হাসপাতালের কাছে ডিএনসিসির কর বকেয়া ৩০ কোটি টাকা
শহীদ নিজামীর খুনিদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ: রফিকুল ইসলাম 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা