সীমান্তে বাংলাদেশি যুবক হত্যা, বিএসএফের নামে মামলা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:২৬

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় সীমান্তে গুলিতে নিহতের ঘটনায় বিএসএফের নামে মামলা করেছেনে নিহতের বাবা মো. আব্দুল বাতেন।

সোমবার আব্দুল বাতেন বাদী হয়ে রৌমারী থানায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের নামে হত্যা মামলা করেন। এদিকে ওই যুবকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

জানা গেছে, রবিরার (৩ সেপ্টেম্ব) রাতে ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে গরু পাচার করতে গেলে বিএসএফের গুলিতে মানিক মিয়া নামে এক গরু ব্যবসায়ী নিহত হন। নিহত মানিক মিয়া উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বেহুলারচর গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে একদল গরু ব্যবসায়ী মোল্লারচর সীমানা পিলারের পাশ দিয়ে অবৈধভাবে কাঁটাতারের বেড়ার ওপর দিয়ে ভারতীয় গরু পাচার করছিলেন। এসময় টহলরত কুচনিমারা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ্য করে পরপর ৪ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। এতে মানিক মিয়ার বুকে ও কোমড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সঙ্গে থাকা লোকজন তাকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তারা পুলিশ ও বিজিবির মামলার ভয়ে নিহতের লাশ উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের বাঞ্ছারচর গ্রামের নিহত মানিকের খালাতো ভাই আব্দুল মোতালেবের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ১৬ ঘণ্টা পর রবিবার বিকালে পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করেন।

এ ব্যাপারে সোমবার নিহতের বাবা আব্দুল বাতেন বাদী হয়ে ভারতীয় বিএসএফের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মো. আব্দুল বাতেন বলেন, সীমান্তে শুধু আমার ছেলে নয় আমার ছেলের মত অনেককে ওরা গুলি করে হত্যা করেছে। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।

রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপ কুমার সরকার বলেন, ভারতীয় সীমান্তে মানিক মিয়া হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে বিএসএফের নামে হত্যা মামলা করেছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্টে প্রাথমিকভাবে বাঁ পাঁজরে একটি ছোট ফুটো এবং বুকের ডান দিকে আরেকটি ফুটো ছিল। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে।

জামালপুর বিজিবি-৩৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ আল মাশরুকি বলেন, সীমান্তে গুলির ঘটনায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর সাথে পতাকা বৈঠক করেছি। বিএসএফের পক্ষ থেকে গুলির ঘটনা স্বীকার করেছে। আমরা সীমান্ত হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছি। নিহতের বাবা বিএসএফের নামে হত্যা মামলা করেছে এমন তথ্য আমার কাছে নেই। যদি মামলা করে থাকে তবে আমি আমার হেড কোয়ার্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ায় যাবো।

(ঢাকাটাইমস/০৫সেপ্টেম্বর/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :