সব দলের অংশগ্রহণে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন চায় আ.লীগ: কাদের

আওয়ামী লীগ সব দলের অংশগ্রহণে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন চায় বলে মন্তব্য করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠিত হবে।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের তথাকথিত আন্দোলনকে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধের প্রতি উপহাস করেছেন। যারা ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সৎ করেছে, স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসিত করেছে, মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম অধ্যায়টি সামরিক ছাউনিতে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক দল বিএনপির তথাকথিত আন্দোলনের সঙ্গে তার তুলনা হতে পারে না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই অপপ্রয়াস মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অবস্থান।

তিনি বলেন, জনগণের সম্মিলিত ইতিহাসের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে নতুন বয়ান তৈরির অপচেষ্টা বিএনপির ফ্যাসিবাদী মনোভাবের বহিপ্রকাশ। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এদেশের স্বাধীনতা অর্জিত এবং তা অর্থবহ ধারা প্রত্যেকের ঘরে পৌঁছে দিতে আওয়ামী লীগ মানুষে ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বিপরীতে বিএনপির নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধী পরাজিত শক্তি সেই অগ্রযাত্রা বার বার বাধাগ্রস্ত করছে।

আওয়ামী লীগ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক দল। যারা কখনো নির্বাচন ব্যতীত ক্ষমতায় আসে নাই। আমরা চাই সব দলের অংশগ্রহণে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠিত হবে। বিগত দিনে নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে বিদ্ধ করতে বিএনপি বিভিন্ন ধরনের অপকৌশল গ্রহণ করেছিল। তাদের গৃহীত অপকৌশলের কারণে নির্বাচন ও গণতন্ত্রে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে সেটার দায়ভার তাদের নিতে হবে। এসব কারণে বিএনপি জনগণের সামনে দাঁড়াতে ভয় পাচ্ছে, প্রতিনিয়ত পাগলের প্রলাপ বকছে।

বিবৃতিতে কাদের আরও বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের নেতাকর্মীদের পণ করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বিএনপির রাজনৈতিক শ্লোগান হলো 'টেক ব্যাক বাংলাদেশ'। তাহলে কী তাদের নেতাকর্মীরা পণ করে বিএনপি শাসনামলে দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত বাংলাদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠার মিছিলে অংশগ্রহণ করবে। বিএনপি মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানাব, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত হয় এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরত থাকার পণ করানোর। তাহলে সেটা দেশ ও দেশের জনগণ সবার জন্য মঙ্গলজনক হবে।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ত্রিশ লাখ শহীদ ও আড়াই লাখ মা-বোনের অবিস্মরণীয় আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতা ও এদেশের গণতন্ত্র কোনো অপশক্তির রাজনৈতিক প্রত্যয়ে ব্র্যাকেট বন্দি হতে দেবেন না বলে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

(ঢাকাটাইমস/০৫সেপ্টেম্বর/জেএ/ইএস)