বাস সিএনজি প্রাইভেটকার কিছুই ঢুকতে পারছে না মতিঝিলে
দুই দলের সমাবেশ ঘিরে রাজধানীতে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে রাজধানীর অন্যতম প্রাণকেন্দ্র মতিঝিলে জামায়াত কর্মসূচি ঘোষণা দেয়ায় পুলিশ শাপলা চত্বরে ঢুকতে দিচ্ছে না কোনো বাস, এমনকি সাধারণ মানুষকেও। মহাসমাবেশের অনুমতি না দিলে জামায়াতের কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সে লক্ষ্যে কড়া নজরদারির মধ্যে রয়েছে মতিঝিল এলাকা।
সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গেছে কর্মজীবী সাধারণ মানুষের ভোগান্তি। কোনো পরিবহন নেই কর্মক্ষেত্রে কিংবা গন্তব্যে পৌঁছাবার। হঠাৎ দুই-একটি রিকশা আসার সঙ্গে উঠে পড়ছেন যাত্রী। কোথায় যাবেন কিংবা ভাড়া আলোচনা না করেই রিকশা দখলের চিত্র দেখা যাচ্ছে। এই এলাকায় কোনো বাস, সিএনজি, মোটরসাইকেল কিংবা প্রাইভেট কারও দেখা যাচ্ছে না সকাল থেকে।
মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক যাবেন বেসরকারি চাকরিজীবী মো. আব্বাস আলী। তিনি থাকেন শনির আখড়ায়। কোনো বাস বা সিএনজি না পেয়ে রিকশায় করে এসেছেন নটরডেম কলেজ পর্যন্ত। এখান থেকে হেঁটে রওনা দিয়েছেন গন্তব্যে। তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘সকাল থেকে কোনো বাস পাইনি যাত্রাবাড়ীতে। দুই-একটা বাস চললেও তাতে পা রাখারও জায়গা নেই। অনেক চেষ্টা করেও উঠতে পারিনি। দেশে যা-ই হয়ে যাক আমাদের তো অফিসে যেতেই হবে। এমন সমস্যার মধ্যেও অফিস ছূটি দেয়নি। চাকরি বাঁচাতে তাই অফিসে যাওয়ার জন্য বের হয়েছি। দেখি কতক্ষণে পৌঁছাতে পারি।’
এদিকে মতিঝিল এলাকার আশপাশে সরজমিনে দেখা যায়, প্রেস ক্লাব, ফকিরাপুল, রাজারবাগ এবং টিটিপাড়া দিয়ে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। যাদের একান্ত প্রয়োজন বা এই এলাকার বাসিন্দা কিংবা চাকরিজীবী তাদের আইডি কার্ড এবং পরিচয় নিশ্চিত হয়েই ছাড়ছেন নিরাপত্তায় নিয়োজিতরা।
সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নারী ও শিশুরা। কেউ কেউ রিকশা নিয়ে এলেও রিকশা ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। হেঁটেই মতিঝিল এলাকায় যেতে হচ্ছে তাদের।
(ঢাকাটাইমস/২৮অক্টোবর/এসএস/এফএ)