নিয়মিত হাঁটলে হৃদরোগ-ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে! সাইকেল চালালেও কিন্তু ঠকবেন না

ব্যস্ত এই শরীরে দম ফেলার ফুসরত নেই অনেকেরই। সেই ব্যস্ততার ভিড়ে শরীরের যত্ন নেওয়ার কথা বেমালুম ভুলে যেতে হয়। সকাল থেকে রাত শুধুই কাজের মধ্যে ডুবে থাকা। শরীরচর্চা তো দূর অস্ত, খাওয়াদাওয়াও অনেকে করতে পারেন না ঠিকমতো। শরীরের প্রতি এই বেখেয়ালীপনাই পরে ডেকে আনে মারাত্মক সব রোগ।
অথচ বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়েই বলছেন, খাওয়াদাওয়ার মতো নিয়মিত শরীরচর্চাও গুরুত্বপূর্ণ। তাই ব্যস্ততার মধ্যে যাদের আলাদা সময় বের করে জিমে বা পার্কে গিয়ে ঘাম ঝরানো সম্ভব নয়, হাঁটা এবং সাইকেল চালানো হতে পারে তাদের জন্য আদর্শ। এই দুটিই শরীরের জন্য বিশেষ ভাবে উপকারী।
কিন্তু কোনটি বেশি উপকারী?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাঁটা এবং সাইকেল চালানো- দুটিই স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। সহজ এ দুটি ব্যায়াম কার্ডিওভাসকুলার ফিটনেস উন্নত করে। ওজন কমাতে এবং নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, হাঁটা মেজাজ ও মানসিক সুস্থতা বৃদ্ধি করে। হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের মতো জটিল সব রোগের ঝুঁকি কমায়।
অন্যদিকে, নিয়মিত কিছু সময় সাইকেল চালালে স্ট্যামিনা বাড়বে। অর্থাৎ, দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার শক্তি পাবেন। হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুসের জন্যেও ভালো। সাইকেল চালালে পেশিতে রক্ত চলাচলা বাড়ে, পেশি শক্ত হয়। পাশাপাশি ফুসফুসের কার্যক্ষমতাও বাড়বে। সাইকেল চালালে আপনার হিপ, পা এবং থাইয়ের শক্তিও বৃদ্ধি পাবে।
হাঁটা এবং সাইকেল চালানো দুটিই ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। কারণ, দুটি ব্যায়ামই শরীর থেকে অতিরিক্ত ক্যালোরি খরচ করে ফেলে। ফলে সীমিত ক্যালোরি গ্রহণ করলে সেক্ষেত্রে আপনার শরীরে জমে থাকা ফ্যাট বার্ন হতে শুরু করবে।
পেশি তৈরির জন্য কোন ব্যায়ামটি ভালো?
যদি লোয়ার বডির পেশি শক্তিশালী করাই আপনার উদ্দেশ্য হয়, সেক্ষেত্রে হাঁটা বা সাইকেল চালানো কোনোটাতেই খুব বেশি লাভ হবে না। তবে যদি আপনার লক্ষ্য হয় দ্রুত অনেক বেশি ক্যালোরি খরচ করে ফেলা, সেক্ষেত্রে হাঁটা এবং সাইকেল চালানো দুটিই দুর্দান্ত।
আপনি সাইকেল চালাবেন না হাঁটবেন, পুরোটাই আপনার সুবিধার উপর নির্ভর করে। টানা ২০-৩০ মিনিট যেটা পারবেন, সেটাই করুন। হাঁটার ক্ষেত্রে যদি আস্তে আস্তে হাঁটেন, তাহলে কিন্তু লাভ হবে না। হাঁটতে হবে দ্রুত গতিতে। সাইকেল চালানোর ক্ষেত্রেও মাঝারি থেকে বেশি গতিতে চালাতে হবে।
(ঢাকা টাইমস/৩০অক্টোবর/এজে)

মন্তব্য করুন