দাউদ ইব্রাহিম মারা গেছেন? 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩:৫৪ | প্রকাশিত : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:০৭

সময় যত এগোচ্ছে, আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমকে নিয়ে জল্পনা ততই বাড়ছে। বিষের জ্বালায় জর্জরিত দাউদ ইব্রাহিম করাচির হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার কয়েক ঘণ্টা পরই তার মৃত্যুর খবরও ছড়িয়ে পড়েছে।

সোমবার রাত থেকেই পাকিস্তানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে দাউদের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর রটেছে। এছাড়া দাউদের আত্মীয় তথা সাবেক পাক ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াদাঁদকে গৃহবন্দি করার খবরও প্রকাশ্যে আসে।

এমনকি সামাজিক মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান আনোয়ারুল হক কাকার দাউদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তার আত্মার শান্তি কামনা করেছেন, এমন কিছু স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে গুঞ্জন আরও জোরদার হয়।

তবে তথ্যের সত্যতা যাচাই–বাছাইকারী ওয়েবসাইট ডিএফআরএসি জানিয়েছে, ছড়িয়ে পড়া স্ক্রিনশটে যে এক্স অ্যাকাউন্টটি দেখা গেছে, তা আনোয়ারুল হক কাকারের নয়। সেটি ভুয়া।

অন্যদিকে দাউদের মৃত্যুর বিষয়ে এখনও পাকিস্তানের সরকারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, করাচি এবং লাহোরসহ পাকিস্তানের অনেক শহরে ইন্টারনেট পরিষেবা এবং এক্স, ফেসবুক এবং ইউটিউবের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেই জানানো হয়েছে।

সোমবারই দাউদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় (মেয়ের শ্বশুর) তথা সাবেক ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদকে পরিবারসহ গৃহবন্দি করার খবর প্রকাশ্যে আসে। যদিও পরে গৃহবন্দি হওয়ার খবর অস্বীকার করেছেন মিয়াদাঁদ। এমনকি দাউদের বিষয়েও কোনো খবর জানেন না বলে তিনি জানিয়েছেন।

এর আগে সোমবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমকে বিষপ্রয়োগে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শুক্রবার করাচির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে দাউদ ইব্রাহিমকে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হয়েছে তাকে। সেখানে শুধুমাত্র হাসপাতালের শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসক এবং পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যদের প্রবেশাধিকার রয়েছে। বাকি কাউকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ মুম্বাইয়ে প্রাণঘাতী সিরিজ বোমা হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন দাউদ ইব্রাহিম। ওই হামলায় ২৬৭ জন নিহত হয়েছিলেন। এরপর তিনি দুবাই হয়ে পাকিস্তানে আশ্রয় নেন। পাকিস্তান সরকারিভাবে কখনো স্বীকার না করলেও, মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীর তালিকায় নাম থাকা দাউদ দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানে রয়েছেন বলে দাবি ভারতের। এছাড়া পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াদাঁদের ছেলে জুনেইদ মিয়াদাঁদের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে দাউদের মেয়ে মাহরখ ইব্রাহিমের।

(ঢাকাটাইমস/১৯ডিসেম্বর/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :