মিরাজ-মালিকের দুর্দান্ত ব্যাটে খুলনার জয়রথ থামালো বরিশাল

চলতি বিপিএলে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল খুলনা টাইগার্স। ঢাকা ও সিলেট পর্ব মিলিয়ে ৪ ম্যাচ খেলে চারটিতেই জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা খুলনা নিজেদের পঞ্চম ম্যাচেও তামিমের বরিশালের বিপক্ষে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল। তবে তাদের মুখের সামনে থেকে সেই খাবার কেড়ে নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও শোয়েব মালিক। শেষ মুহূর্তে এই দুই ব্যাটারের ২৩ বলে ৫৫ রানে ভর করে খুলনাকে ৫ উইকেটে হারাল বরিশাল। চলতি বিপিএলে যা খুলনার প্রথম হার।
খুলনার দেওয়া ১৫৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৭ রানেই প্রথম উইকেট হারায় তামিরের বরিশাল। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা বরিশাল ১০১ রানেই হারায় ৫ উইকেট। ১০১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন শোয়েব মালিক ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ষষ্ঠ উইকেটে এই জুটির ২৩ বলে ৫৫ রানে ভর করে ১৯ ওভার ৪ বলেই জয় তুলে নেয় বরিশাল। শোয়েব মালিক ২৫ বলে ৪১ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ১৫ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন।
বরিশালের হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামা আহমেদ শেহজাদ ইনিংসের শুরুতেই ফিরে যান সাজঘরে। দলীয় মাত্র ৭ রানে নাহিদুল ইসলামের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। আউট হওয়ার আগে করেন ৩ বলে শূন্য রান।
৭ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। তবে এই জুটিকে বেশিদূর এগোতে দেননি ফাহিম আশরাফ। ফাহিমের বলে হাবিবুর রহমানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তামিম ইকবাল। তার বিদায়ে ভাঙে ২৭ রানের জুটি।
তামিমের বিদায়ের পর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সৌম্য সরকার। তবে দলীয় ৬০ রানে সৌম্য সরকার ফিরে গেলে ভাঙে ২৬ রানের জুটি। ২৩ বলে ২৬ রান করা সৌম্য ফাহিম আশরাফের বলে লং অনে মোহাম্মদ নেওয়াজের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে পথ ধরেন প্যাভিলিয়নের।
৬০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন শোয়েব মালিক ও মুশফিকুর রহিম। এই জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে বরিশাল। অবশেষে এই জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ। নাসুমের বলে মিড উইকেটে মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান মুশফিকুর রহিম। আউট হওয়ার আগে করেন ২৫ বলে ২৭ রান। তার বিদায়ে ভাঙে ৩০ রানের জুটি।
মুশফিকুর রহিমের পথ ধরে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। তাকেও ফেরান ফাহিম আশরাফ। ফাহিমের বলে ডিপ স্কোয়ার লেগে মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে ১০১ রানেই ৫ উইকেট হারায় বরিশাল।
১০১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন শোয়েব মালিক ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ষষ্ঠ উইকেটে এই জুটির ২৩ বলে ৫৫ রানে ভর করে ১৯ ওভার ৪ বলেই জয় তুলে নেয় বরিশাল। শোয়েব মালিক ২৫ বলে ৪১ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ১৫ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য বরিশালের দরকার হয় ১৮ রান। দাসুন শানাকা প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান মেহেদী হাসান মিরাজ। যার ফলে ৫ বলে বরিশালের দরকার হয় ১২ রান। প্রথম বলে ছক্কা হাঁকানোর পর দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নেন মিরাজ। ওভারের তৃতীয বলে চার মারেন শোয়েব মালিক। এরপর শেষ তিন বলে জয়ের জন্য বরিশালের দরকার ছিল ৭ রান। ঠিক তার পরের বলেই ছক্কা হাঁকান শোয়েব মালিক। ম্যাচ টাই হয়ে যায়। শেষ দুই বলে জয়ের জন্য মাত্র ১ রান দরকার ছিলো। কিন্তু ওভারের পঞ্চম বলটি ওয়াইড দিয়ে বসেন দাসুন শানাকা। যারে ফলে ২ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় বরিশাল।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে খুলনা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা খুলনা ৮৮ রানেই হারায় ৭ উইকেট। যার ফলে শঙ্কা জাগে দলীয় শতক পূর্ণ হওয়ার আগেই অলআউট হওয়ার। তবে অষ্টম উইকেটে দুই বিদেশি ক্রিকেটার মোহাম্মদ নেওয়াজ ও ফাহিম আশরাফের ৬৭ রানে ভর করে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান তুলতে সক্ষম হয় খুলনা।
(ঢাকাটাইমস/০৩ফেব্রুয়ারি/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন