নতুন বইয়ের সংখ্যা ৫০০ ছুঁইছুঁই

​​​​​​​শেখ শাকিল হোসেন, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৫

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪- গত দিনে ৪৯৮টি নতুন বই এসেছে। বৃহস্পতিবার মেলার অষ্টম দিনে নতুন বই এসেছে ৮০টি। সবচেয়ে বেশি বই এসেছে মেলার ষষ্ঠ দিন। এদিন ১০৮টি নতুন বই আসে। তবে পুরাতন বইয়ের প্রতিও দর্শনার্থীদের আগ্রহের কমতি নেই। বিশেষ করে জনপ্রিয় লেখকের বইয়ের বিক্রি ভাল।

মিজান পাবলিশার্সের বিক্রয়কর্মী শিপ্রা বর্মন ঢাকা টাইমসকে জানান, আমাদের পুরোনো লেখকদের বই বেশি চলছে। বিশেষ করে শরৎচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বই এবং ম্যাক্সিম গোর্কিরমাউপন্যাসটিও ভাল চলছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের বেশ কয়েকটি প্যাভিলিয়নের বিক্রয়কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবারের বইমেলায় উপন্যাসের কাটতে বেশি।

বৃহস্পতিবার সারাদিন যা হলো

বিকাল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্মরণ: আহমদ শরীফ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজীব সরকার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মোরশেদ শফিউল হাসান এবং আফজালুল বাসার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী।

প্রাবন্ধিক বলেন, শিক্ষক, গবেষক, প্রাবন্ধিক সমাজ রূপান্তরকামী বুদ্ধিজীবী-বহুমাত্রিক পরিচয়ে ভূষিত আহমদ শরীফ ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি চিন্তাবিদ। রেনেসাঁর প্রতি তাঁর ছিল গভীর অনুরাগ। আহমদ শরীফের ইহজাগতিক জীবনদর্শনের মূলে কাজ করেছে রেনেসাঁস চেতনা। মানুষের কল্যাণ সাধনই ছিল তাঁর ব্রত। মত প্রকাশের স্বাধীনতা মুক্তবুদ্ধির অবিচল অনুশীলন করেছিলেন তিনি। জন্য স্বাধীন মত প্রকাশ করা থেকে নিজে কখনো বিরত থাকেননি। আহমদ শরীফের জীবন কর্ম পর্যালোচনা করলে যুক্তিবাদ, মুক্তচিন্তা, মানবমুখিনতা, বিজ্ঞানমনস্কতা আধুনিকতার উজ্জ্বল সম্মিলন দৃশ্যমান হয়। আলোচকবৃন্দ বলেন, বিংশ শতাব্দীর একজন আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ ছিলেন অধ্যাপক আহমদ শরীফ। তিনি বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ নিয়ে মৌলিকভাবে গবেষণা করেছেন। গভীর অনুসন্ধিৎসা জ্ঞানতৃষ্ণা ছিল তাঁর চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য। জ্ঞানের আড়ষ্টতা ছাড়িয়ে জ্ঞানের গতিশীলতার প্রতি আমাদের দৃষ্টি নিবন্ধ করিয়েছেন তিনি। বস্তুবাদী বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন আহমদ শরীফ সমাজ ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটানোর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মুক্তির স্বপ্ন দেখেছেন।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী বলেন, অধ্যাপক আহমদ শরীফের চিন্তাজগৎ ছিল সুদূর প্রসারিত। জ্ঞান অন্বেষণের ধারাবাহিকতায় তাঁর চিন্তাজগতে বিবর্তনও ঘটেছে। নতুন বিষয়কে সহজভাবে গ্রহণ করার ক্ষমতা ছিল তাঁর। এই মহান চিন্তকের ইহজাগতিক রেনেসাঁ-চিন্তা আজও প্রাসঙ্গিক।

লেখক বলছিঅনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন শিশুসাহিত্যিক দীপু মাহমুদ, গবেষক আলী আকবর টাবী, কবি সুমন সরদার এবং কথাসাহিত্যিক শাহরিয়া দিনা।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি আশরাফ আহমদ, নাসরীন জাহান, কামরুল হাসান এবং আলফ্রেড খোকন। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী মাহিদুল ইসলাম, শাকিলা মতিন মৃদুলা এবং অতনু করঞ্জাই। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পুথি পাঠ করেন মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম।

শুক্রবারের কর্মসূচি:

শুক্রবার অমর একুশে বইমেলার নবম দিন। মেলা শুরু হবে সকাল ১১টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত মেলায় থাকবে শিশুপ্রহর।

অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন। সকাল ১০টায় আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতার প্রাথমিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ছাড়াও, বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ: এস. ওয়াজেদ আলি শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন আবু হেনা মোস্তফা এনাম। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন ইকতিয়ার চৌধুরী এবং কুদরত--হুদা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক সৈয়দ আকরম হোসেন।

(ঢাকাটাইমস/০৮ফেব্রুয়ারি/এসকে/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :