নতুন সরকার গঠনে আনুষ্ঠানিক চুক্তি পিএমএল-এন ও পিপিপির
পাকিস্তানের দুটি রাজনৈতিক দল নতুন সরকার গঠনের জন্য আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে পৌঁছেছে।
পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)কে সরকার গঠনে সমর্থন করেছে। দল দুটি যৌথভাবে এ ঘোষণা করেছে।
৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অনুগত প্রার্থীদের তুলনায় উভয় দলই কম আসনে জিতেছে।
এক্সে ইমরান খানের দল পিটিআই জোটকে ‘ম্যান্ডেট চোর’ বলে অভিহিত করেছে।
ইমরানের অভিযোগ, তার সমর্থকদের ক্ষমতার বাইরে রাখতে ভোটে কারচুপি করা হয়েছে।
একটি জোট গঠনের জন্য প্রাথমিক চুক্তিতে পৌঁছানোর ছয় দিনেরও বেশি সময় পরে, পিএমএল-এন এবং পিপিপি মঙ্গলবার একটি সংবাদ সম্মেলনে একটি পূর্ণ চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে বলে ঘোষণা করেছে।
পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো বলেছেন, “এই জোটের লক্ষ্য দেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করা।”
সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পিএমএল-এন সভাপতি শাহবাজ শরীফ ‘অর্থনৈতিক এবং অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সম্মিলিত পদক্ষেপের’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
চুক্তির অর্থ হল শাহবাজ শরীফ জুনিয়র কোয়ালিশন পার্টনারের সমর্থনে দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন। অন্যদিকে পিপিপির আসিফ আলী জারদারি রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য জোটের প্রার্থী হবেন।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় একটি সংসদীয় ভোট হবে, যা ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ হতে পারে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্ধারণের জন্য একটি পৃথক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য বড় পদ কে নেবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এই মাসের শুরুতে বিতর্কিত সংসদ নির্বাচনে কারাবন্দি ইমরান খানের প্রার্থীরা একক ব্যানারের অধীনে না হয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য হন। তার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত প্রার্থীরা একক বৃহত্তম ব্লক হিসেবে আবির্ভূত হয়।
যাইহোক, জাতীয় পরিষদে তাদের ৯৩টি আসন সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ১৬৯টির সামগ্রিক সংখ্যাগরিষ্ঠতার কম ছিল।
এটি পিএমএলএন-এর জন্য পথ প্রশস্ত করেছে, যার নেতৃত্বে আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।
পিএমএলএন ৭৫টি আসন জিতেছে, যেখানে পিপিপি ৫৪টি নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। বিবিসি।
(ঢাকাটাইমস/২১ফেব্রুয়ারি/এফএ)