রাখাইনের বাজারে জান্তার গোলাবর্ষণে নিহত ১২, আহত ৮০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৪, ১২:৫১ | প্রকাশিত : ০২ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৭
জান্তার গোলাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত একটি বাড়ি। ছবি: রয়টার্স

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনের একটি ব্যস্ত বাজারে সামরিক বাহিনীর গোলাবর্ষণে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৮০ জনেরও বেশি মানুষ।

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যটি নিয়ন্ত্রণকারী বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) বলেছে, বৃহস্পতিবার রাজধানী ও বন্দর শহর সিত্তওয়ের কাছে একটি সামরিক যুদ্ধজাহাজ থেকে নিকটবর্তী মায়োমা বাজারে গোলা ছুড়ে জান্তা বাহিনী। এতে ১২ জন নিহত এবং ৮০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল মায়াবতীতে একটি বিবৃতি জান্তা সরকার দাবি করেছে, মায়োমা বাজারে গোলাবর্ষণ করেছে আরকান আর্মি। তবে হামলায় নিহত ও আহতের সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তবে দু’পক্ষের দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রসঙ্গত, গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক জান্তার নতুন করে ক্ষমতা দখলের তিন বছর পূর্ণ হয়েছে। তবে প্রথম আড়াই বছর সামরিক বাহিনী দমনপীড়নের মাধ্যমে যতটা সহজে তাদের ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছে, পরে সে দৃশ্য অনেকটাই বদলে গেছে।

২০২১ সালের এপ্রিলেই ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেতৃত্বে নির্বাচনে জয়ী সদস্যরা জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করে, যাকে সংক্ষেপে বলা হয় এনইউজি। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরাও এতে যোগ দেয়।

সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে থাকা বিদ্রোহী বাহিনীর সঙ্গে মিলে তারা প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করে এবং সব গোষ্ঠীর সমন্বয়ে তৈরি করে ‘পিপল ডিফেন্স ফোর্স’।

সামরিক বাহিনীর দমনপীড়নের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা সক্রিয় থাকলেও এটি নতুন মাত্রা পায় উত্তরাঞ্চলের তিনটি বিদ্রোহী বাহিনীর এককাট্টা হয়ে আক্রমণ শুরুর পর।

২০২৩ সালের অক্টোবরের শেষের দিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর একজোট হয়ে হামলা চালায় দেশটির উত্তরের জাতিগতভাবে সংখ্যালঘু তিনটি বিদ্রোহী বাহিনী, যাদের একসঙ্গে ডাকা হচ্ছে 'থ্রি গ্রুপ অ্যালায়েন্স' নামে।

ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং আরাকান আর্মি (এএ) নিয়ে এই জোট গঠন করা হয়েছে। তারা একে নাম দেয় ‘অপারেশন ১০২৭’। এছাড়াও শত শত স্বেচ্ছাসেবী জাতিগত বিদ্রোহীদের সাথে যোগ দেয়। তাদের সাথে অস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দুই বছরের আপাত অচলাবস্থার অবসান ঘটে। ফলে সামরিক বাহিনীকে এই মুহূর্তে নানা ধরনের হামলার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আর তা কেবল একটি জায়গাতেই না বরং দেশব্যাপী।

দেশটির থিংক ট্যাংক ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজি এন্ড পলিসি (আইএসপি) মিয়ানমারের তথ্য অনুযায়ী, সামরিক বাহিনী এরই মধ্যে বিদ্রোহী বাহিনীর কাছে ৪৩ শতাংশেরও বেশি জায়গা হারিয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স

(ঢাকাটাইমস/০২মার্চ/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :