পাঁচ মাসের মাথায় পাকিস্তান দলের নেতৃত্বে ফিরলেন বাবর আজম
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে পরিবর্তনই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। হুট করে বদল আসে বোর্ডের কিংবা দলের যে কোনো পদে। ভারত বিশ্বকাপের ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ান বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার বাবর আজম। আরেকটি বিশ্বকাপ সামনে রেখে আবারও নেতৃত্বে ফেরানো হলো তারকা এই ব্যাটারকে। সাদা বলের ক্রিকেটে (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) দলকে নেতৃত্ব দেবেন বাবর।
রোববার (৩১ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পিসিবি জানায়, দেশটির ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন বাবর আজম।
আগামী ১৮ এপ্রিল থেকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে। তার আগেই নেতৃত্বে রদবদল আনলো পিসিবি। হোয়াইট বলের ক্রিকেটে বাবর নেতৃত্বে ফেরায় এক সিরিজ শেষেই টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব অধ্যায় শেষ হলো শাহিন শাহ আফ্রিদির। এ ছাড়া ওয়ানডের নেতৃত্ব হারালেন শান মাসুদ।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর পাকিস্তানের তিন ফরম্যাটেরই অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন বাবর আজম। ওয়ানডে অধিনায়কের পদ খালি রেখে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির জন্য ভিন্ন ভিন্ন অধিনায়কের পথে হেঁটেছিল পিসিবি।
টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন বাঁহাতি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। আর টেস্টে দায়িত্ব পেয়েছিলেন শান মাসুদ। মাসুদের দায়িত্ব ঠিক থাকলেও শাহিনকে মুক্ত করা হয়েছে। সাবেক নেতার হাতেই সেই দায়িত্ব তুলে দেয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে পিসিবির নতুন চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি অধিনায়কত্ব বদলের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত সেটিই সত্য হলো।
অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর শাহিনের নেতৃত্বে একটা সিরিজই খেলেছে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ড সফরে সেই টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হারে পাকিস্তান। এরপর পিএসএলে শাহিনের নেতৃত্বে ভরাডুবি হয়েছে লাহোর কালান্দার্সেরও। গত দুই আসরে এই বাঁহাতি পেসারের নেতৃত্বে শিরোপা জিতলেও এবার ১০ ম্যাচে মাত্র ১টিতে জয় পেয়েছিল লাহোর। এরপরই বিশ্বকাপের আগে শাহিনকে সরিয়ে দেয়া হলো।
২০১৯ সালে সরফরাজ আহমেদের জায়গায় পাকিস্তানের সাদা বলের অধিনায়কের দায়িত্ব পান বাবর আজম। ২০২১ সালে তাকে দেওয়া হয় টেস্টের নেতৃত্ব। তার অধিনায়কত্বে পাকিস্তান ২০২২ সালে এশিয়া কাপ ও টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলে। একই বছর তারা উঠে যায় ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে। বাবরের অধিনায়কত্বে সব মিলিয়ে ২০ টেস্টে পাকিস্তানের জয় ১০টি তে। ৪৩ ওয়ানডে জয় ২৬টি এবং ৭১ টি টি-টোয়েন্টিতে জয় ৪২ টি।
আপাতত পাকিস্তানের কোচের পদটাও ফাঁকা। শেন ওয়াটসন কিংবা ড্যারেন স্যামিকে কোচ হিসেবে চাইলেও তারা কোচ হতে আপত্তি জানানোয় নতুন করে খোঁজ চলছে।(ঢাকাটাইমস/৩১মার্চ/এনবিডব্লিউ)