আতঙ্কে হল ছাড়ছেন চবির শিক্ষার্থীরা

বুধবার সকাল থেকেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ছাড়তে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের চোখে-মুখে ছিল আতঙ্কের ছাপ। এ এফ রহমান, আলাওল, শাহ আমানত, শহীদ আব্দুর রব, শামসুন্নাহার, প্রীতিলতা হলসহ প্রায় সব হল থেকেই শিক্ষার্থীদের অনেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। তাদের ব্যাগ গুছিয়ে হল ছাড়তে দেখা গেছে।
এর আগে মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ এবং হল ত্যাগের নির্দেশনা দেয় ইউজিসি। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে স্কুল-কলেজও। বৃহস্পতিবারের এইচএসসি পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।
আমিনুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, মঙ্গলবার বিকাল থেকে বাসায় যাওয়ার জন্য পরিবারের সদস্যরা ফোন করছে। রাতে ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলাম। সকালে বাড়ি যাচ্ছি।
ইমরান নামে এক শিক্ষার্থী জানান, ক্যাম্পাসে থাকার ইচ্ছা ছিল। এখন আর তা সম্ভব হচ্ছে না। এর আগে মঙ্গলবার রক্তক্ষয়ী একটি দিন দেখেছে দেশবাসী। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এদিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়। শিক্ষার্থীদের অবরোধে অনেকটা স্থবির হয়ে পড়ে চট্টগ্রাম। ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, রংপুর, বরিশালে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায় শিক্ষার্থীরা। এতে কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন।
নিহতদের স্মরণে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে গায়েবানা জানাজা পড়ানো হবে। এরপর কফিন মিছিল করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। নিরাপত্তা বজায় রাখতে ঢাকা-চটগ্রামসহ ৬ জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি।
এর আগে গতকাল চট্টগ্রামে আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের এই পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী তিনজন নিহত হয়েছেন। দিনভর সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
(ঢাকা টাইমস/১৭জুলাই/এসএ)

মন্তব্য করুন