জনগণের টাকা ফেরাতে বেসরকারি ব্যাংকের জন্য রোডম্যাপ হবে: রিজওয়ানা হাসান
বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকে জমাকৃত জনগণের অর্থ ফেরত পেতে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি রোডম্যাপ তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, অর্থ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জমাকৃত জনগণের অর্থ ফেরত আনার জন্য একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে বলবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে রোডম্যাপ তৈরি করবে। এ বিষয়ে শিগগিরই একটি বৈঠক করা হবে।’
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন। এসমময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বেসরকারি ব্যাংকে জনগণের টাকা জমার বিষয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কিছু টাকা আছে এবং তারা তা স্থায়ী আমানত হিসেবে ব্যাংকে রাখে। এই আয় দিয়ে সরকার প্রকল্প গ্রহণ করে। ক্ষমতাচ্যুত সরকার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ডে (বিসিসিটিএফ) ৩,৯৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তহবিল থেকে কিছু টাকা তৎকালীন ফারমার্স ব্যাংকে (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) জমা রেখেছিল।’
সৈয়দ রিজওয়ানা বলেন, ‘ব্যাংকে জমাকৃত টাকার পরিমাণ এখন সুদসহ ৮শ’ ৭৩ কোটি ৮১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৫৩ টাকার বেশি। কিন্তু পদ্মা ব্যাংক বারবার দাবি করা সত্ত্বেও টাকা ফেরত দিচ্ছে না। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই প্রতি বছর এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিট রসিদ) নবায়ন করছে।’
‘এখন বলছে তারা ২০৩৮ সালের আগে অর্থ ফেরত দিতে পারবে না, যা দেশের ব্যাংকিং খাতের নাজুক অবস্থার চিত্র তুলে ধরে’ বলেন রিজওয়ানা হাসান।
এ বিষয়ে জবাবদিহিতা চাইবে জানিয়েছে তিনি বলেন, ‘সরকারও জানতে চাইবে যে, কেন মন্ত্রণালয়গুলো সরকারি টাকা বেসরকারি ব্যাংকে জমা করেছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা বলেন, ‘ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনাকে অবশ্যই ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
(ঢাকাটাইমস/১২সেপ্টেম্বর/এসআইএস)