যে কারণে অপসারিত হলেন ইউএসএআইডির মহাপরিদর্শক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নানা পদক্ষেপ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পরদিনই সরিয়ে দেওয়া হলো দেশটির আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল এইডের (ইউএসএআইডি) মহাপরিদর্শক পল মার্টিনকে। মহাপরিদর্শকের অফিস ইউএসএআইডিকে বিলুপ্ত করার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের প্রচেষ্টার সমালোচনা করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। এর একদিন পরই পল মার্টিনকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইউএসএআইডির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
সোমবার ইউএসএআইডির মহাপরিদর্শকের দপ্তর থেকে ট্রাম্পের সমালোচনা করে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওই প্রতিবেদনে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নানা পদক্ষেপ ইউএসএআইডির সক্ষমতাকে পঙ্গু করে দিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এটি প্রকাশের পরদিন মঙ্গলবার পল মার্টিনকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল পার্সোনেল অফিসের ডেপুটি ডিরেক্টর ট্রেন্ট মোর্সের পাঠানো একটি ইমেলের মাধ্যমে মার্টিনকে বরখাস্তের কথা জানানো হয়েছে। ইমেল বার্তায় বলা হয়েছে, ইউএসএআইডি মহাপরিদর্শক পদ থেকে আপনাকে অপসারিত করা হলো যা ‘অবিলম্বে কার্যকর’ হবে।
তবে এতে বরখাস্তের কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। হোয়াইট হাউসও এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।
গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেডিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন। সেই আদেশে বলা হয়, ৯০ দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশে সব ধরনের সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করেছে এবং নতুন সাহায্য অনুমোদন বন্ধ রেখেছে। নির্বাহী আদেশে বিদেশে সব ধরনের সহায়তা কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণার পর চলতি মাসের শুরুতে ইউএসএআইডির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটও বন্ধ হয়ে যায়।
ওই সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইলন মাস্ক ইউএসএআইডিকে একটি ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে আখ্যা দেন। ইলন মাস্ক বলেন, “মার্কিন জনগণের করের অর্থ দিয়ে জৈব অস্ত্র গবেষণায় অর্থায়ন করেছে ইউএসএআইডি। সেইসঙ্গে সংস্থাটি প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর জন্য অর্থ ব্যয় করেছে। তাই সময় হয়েছে সংস্থাটির মরে যাওয়ার।”
(ঢাকাটাইমস/১২ফেব্রুয়ারি/এফএ)

মন্তব্য করুন