ঢাকা কাস্টমসের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চোরাচালান ও দুর্নীতির অভিযোগ

ঢাকা কাস্টমস হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাজেদ ও এনামুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘোষণার আড়ালে চোরাচালান পরিচালনার অভিযোগ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ প্রধান উপদেষ্টা, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের কাছে দায়ের করেছেন আরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি।
অভিযোগে বলা হয়েছে, মাজেদ ও এনামুলের সঙ্গে সিনিয়র কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে কাস্টমসের ভেতরে চোরাচালান ও দুর্নীতির একটি জাল বিস্তার করা হয়েছে। মিথ্যা ঘোষণার আড়ালে এরা এয়ার ফ্রেইট ইউনিটের ডেলিভারি গেট-১ দিয়ে নিষিদ্ধ ও উচ্চ শুল্কের পণ্যসহ ইলেকট্রিক সিগারেট, সেক্স টয়, পুরাতন ল্যাপটপ, শর্তযুক্ত মোবাইল ফোন, মেডিসিন, ড্রোন, ওয়াকিটকি এবং মোবাইল এলসিডি ও সানগ্লাস ভিআইপি মর্যাদায় খালাস দিচ্ছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, প্রতিদিন সরকারি রাজস্ব থেকে ১০-১২ কোটি টাকা ফাঁকিপাচ হচ্ছে। বৈধ ব্যবসায়ীরা চোরাচালান সিন্ডিকেটের কারণে প্রতিযোগিতায় হারছেন, আর ফাঁকিকৃত রাজস্ব অসাধু কর্মকর্তাদের পকেটে যাচ্ছে।
বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নতুন ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী প্রবাসী যাত্রীরা বছরে একবার একটি নতুন মোবাইল ফোন ও সর্বোচ্চ দুটি ব্যবহৃত মোবাইল আনতে পারবেন। কিন্তু ডেলিভারি গেট-১ চোরাচালান চক্রে রূপান্তরিত হয়েছে, প্রতিদিন প্রায় ২,৫০০–৩,০০০ মোবাইল ফোন মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে শুল্ক ছাড়া খালাস পাচ্ছে, যার ফলে সরকারের দৈনিক ৬-৭ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে।
অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, কাস্টমসের অসাধু কর্মকর্তারা রাজস্ব ফাঁকির মোট অঙ্কের ৬০ শতাংশ কমিশন হিসেবে ঘুষ নিচ্ছেন। তাই চোরাচালান সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে বৈধ ব্যবসায়ীদের স্বাভাবিক পথ সুগম করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন