প্রধান বিচারপতির বিচারকাজে বসা সুদূর পরাহত: অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে যে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, তাতে তার অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে এসে বিচারকাজে বসা সুদূর পরাহত।
আজ শনিবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনসহ ১১টি অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের বিবৃতি দেয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মাহবুবে আলম।
মাহবুবে আলম বলেন, অন্যান্য বিচারপতিরা যদি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বসতে অহীনা প্রকাশ করেন তাহলে তো বিচারকাজ হবে না। সুতরাং বাস্তব অবস্থা বিচার করলে তার (এস কে সিনহার) আবার ফিরে এসে বিচারকাজে বসা সুদূর পরাহত বলে আমার মনে হয়। এ ছাড়া বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় প্রধান বিচারপতি ফিরে এসে বিচারকাজে অংশ নিলে বিচার বিভাগে অচলাবস্থার সৃষ্টি হবে।’
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার ছুটি ও বিদেশ যাওয়া নিয়ে বিভিন্ন মহলের আলোচনা-সমালোচনা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির সুস্থতা-অসুস্থতার বিষয়টি বড় কথা নয়। বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে তিনি স্পষ্ট বলেছেন তিনি স্বেচ্ছায় বিদেশ যাচ্ছেন। কেউ তাকে জোর করে পাঠাচ্ছেন না। তাই এই ব্যাপারে আর কোনো তর্ক-বিতর্ক থাকা উচিত বলে আমি মনে করি না।’
সুপ্রিম কোর্টের বিবৃতির মধ্য দিয়ে এই প্রসঙ্গের (প্রধান বিচারপতি) অস্পষ্টতা দূর হয়েছে বলে মনে করেন মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, ‘যারা প্রধান বিচারপতির ছুটি ও তার কার্যভার নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন সুপ্রিম কোর্টের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সবকিছুর পরিসমাপ্তি ঘটেছে। এ ব্যাপারে আর কোনো কথা বলা উচিত নয় বলে আমি মনে করি।’
গত ২ আগস্ট প্রধান বিচারপতি অসুস্থতার জন্য এক মাসের জন্য ছুটির আবেদন করেন বলে জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ নিয়ে বিভিন্ন মহল বিশেষ করে বিএনপি অভিযাগ করে, প্রধান বিচারপতিকে বাধ্যতামূলকভাবে ছুটি ও বিদেশে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার রাতে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের জানান, তিনি সুস্থ আছেন। তিনি নিজের ইচ্ছায় বিদেশ যাচ্ছেন এবং ফিরে এসে আবার আদালতে বসবেন। তবে তিনি এই সমযে বিচার বিভাগে সরকারের হস্তক্ষেপের আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
প্রধান বিচারপতির বক্তব্যকে বিভ্রান্তিমূলক বলে উল্লেখ করে আজ বিকেলে বিবৃতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তাতে বলা হয়, নৈতিক স্খলনসহ ১১টি অভিযোগে তার সঙ্গে একই বেঞ্চে বসতে অনীহা প্রকাশ করেন পাঁচ বিচারপতি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এস কে সিনহা ছুটিতে যান বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
(ঢাকাটাইমস/১৪অক্টোবর/মোআ)