খালেদার মামলার নথি হাইকোর্টে আসতে ‘সময় লাগবে’

মোসাদ্দেক বশির, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৭ মার্চ ২০১৮, ১৪:৪৩ | প্রকাশিত : ০৭ মার্চ ২০১৮, ০৮:১৮
ফাইল ছবি

দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদেশের জন্য আরও সময় লাগবে। কারণ হাইকোর্টের চেয়ে পাঠানো নথি পাঠানোর প্রস্তুতি এখনও শেষ করে আনতে পারেনি বিচারিক আদালত। আর এই নথি না দেখে আদেশ দেবে না উচ্চ আদালত।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিএনপি নেত্রীর জামির আবেদনের ওপর শুনানি হয়। সেদিন আদেশ না দিয়ে নথি দেখে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেন দুই বিচারপতি।

এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের একই বেঞ্চ খালেদা জিয়ার করা আপিল গ্রহণ করে ১৫ দিনের মধ্যে মামলার নথি পাঠানোর আদেশ দেন। সেই অনুযায়ী ৭ মার্চ সেই সময় শেষ হচ্ছে।

তবে হাইকোর্টের আদেশের কপি বিচারিক আদালতে পৌঁছেছে ২৫ ফেব্রুয়ারি। সেই অনুযায়ী আগামী ১১ মার্চ রবিবার হবে ১৫ দিন।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বেঞ্চ সহকারী মোকাররম হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের কপি আমরা ২৫ ফেব্রুয়ারি গ্রহণ করেছি। আশা করছি আগামী বৃহস্পতিবার অথবা রবিবার মামলার রেকর্ড হাইকোর্টে পাঠানো হবে।’

খালেদা জিয়ার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম মঙ্গলবার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘হাইকোর্ট যেদিন আদেশ দিয়েছে সেই দিন থেকেই ১৫ দিনের মধ্যে মামলা রেকর্ডপত্র পাঠাতে হবে। এটা আদেশ লেখা আছে। আমরা আগামীকাল (বুধবার) আদালতে যাব।

তবে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বিচারিক আদালত যেদিন আদেশ পাবে সেদিন থেকে ১৫ দিনের মধ্যে রেকর্ড পাঠাতে হবে।’

খালেদা জিয়ার আইনজীবী জাকির হোসেন ভূইয়া বলেন, ‘মামলার রেকর্ড এখনো পাঠানো হয়নি। কবে পাঠানো হবে সেই বিষয়টিও আমরা কনফার্ম না। তবে আশা করছি কাল অথবা পরশু পাঠানো হবে।’

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। রায়ের পর খালেদা জিয়াকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে নেয়া হয়। তিনি এখনো সেখানেই আছেন।

একই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অন্য পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। এদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সলিমুখ হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন কারাগারে আছেন। বাকি তিন জন তারেক রহমান, জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান এবং সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী পলাতক।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া উচ্চ আদালতে আপিল করতে ১১ দিন লেগে যায় রায়ের অনুলিপি না পেতে বিলম্বের কারণে। ১৯ ফেব্রুয়ারি রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পরদিন উচ্চ আদালতে আপিল করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে।

(ঢাকাটাইমস/০৬মার্চ/এমএবি/ডব্লিউবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিচার বিভাগ আরও শক্তিশালী হবে: প্রধান বিচারপতি

জি কে শামীমের জামিন ঘিরে আবারও প্রতারণা, এক সপ্তাহ নিষিদ্ধ আইনজীবী 

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিবের বিরুদ্ধে মামলা

ধর্ষণ মামলায় মুশতাক-ফাওজিয়ার স্থায়ী জামিন

ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

টিপু-প্রীতি হত্যাকাণ্ড: আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফসহ ৩৩ জনের বিচার শুরু

বিডিনিউজ সম্পাদক খালিদীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল দুদকের

পরীমনির আবেদনে পেছাল মাদক মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা: পিনাকী ভট্টাচার্যকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট, মুশফিককে অব্যাহতি

আগামী সপ্তাহ থেকে আপিল বিভাগে দুই বেঞ্চে বিচারকাজ চলবে

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :