দর্শনার্থীদের প্রাণময় ভিড় বিনোদনকেন্দ্রে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২১:৫১ | প্রকাশিত : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২১:৪৩

রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে হাতির ঝিলে সপরিবারে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী জাহাঙ্গীর আলম। দুই মেয়ে আর এক মেয়ে, সঙ্গে স্ত্রী। মিরপুর থেকে বেড়াতে এসেছেন সরকারি চাকুরে খালেদ সরকার, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে। তার সঙ্গে দেখা হাতিরঝিলের মগবাজার ফ্লাইওভার অংশে। জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে রামপুরার দিকে। দুটি পরিবারই স্বতঃস্ফূর্ত। ঈদের মতো বড় উৎসবের ছুটিতে বেড়াতে বের হন তারা।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এমনিতে বেসরকারি চাকরি করি। ছুটিছাটা খুব একটা পাই না। ঢাকায় যানজটের যে অবস্থা, তাতে সাপ্তাহিক ছুটিতে বেরোনোর সাহস পাই না। তাই বড় উৎসবের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকায় স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে বেড়াই।’ গত ঈদুল ফিতরে তারা চন্দ্রিমা উদ্যান আর সংসদ ভবন এলাকা ঘোরেন বলে জানান তিনি।

খালেদ সরকারও অনেকটা একই রকম কথা বলেন। তিনি এর আগে বেশ কবার হাতির ঝিলে বেড়াতে এসেছেন। এবারও এসেছেন এখানে। ছুটির দিনে এখানকার পরিবেশ তার ভালো লাগে।

জাহাঙ্গীর-খালেদের মতো আরো অনেকে সপরিবারে ঘুরতে এসেছেন এই বিনোদন কেন্দ্রে। কারওয়ান বাজারের দিকের চেয়ে রামপুরার দিকে বিনোদনপিয়াসীদের ভিড় বেশি দেখা গেছে হাতিরঝিলে।

একই ভাবে রাজধানীর অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্র ও দর্শনীয় স্থানে এদিন ভিড় জমাতে দেখা গেছে বিনোদনপ্রেমীদের। কেউ এসেছেন সপরিবারে, কেউবা বন্ধুবান্ধব নিয়ে সদলবলে। প্রেমিক-প্রেমিকা জুটিও ছিল এন্তার।

ঈদের দ্বিতীয় দিন রবিবার বিকেলে বৃষ্টি কিছুটা বাগড়া দিলেও তা বেশিক্ষণ ছিল না। তবে এ সময়ে খোলা বিনোদন জায়গাগুলোয় বেড়ানো অনেককে ভিজিয়ে দিয়ে গেছে তা।

বিকালে রাজধানীর শিশুপার্ক, রমনা পার্ক, চন্দ্রিমা উদ্যান, জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা, চিড়িয়াখানা, হাতির ঝিল, শ্যামলী শিশু মেলায় দেখা যায় নতুন পোশাকে শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষ এসব বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরে ঘুরে সময় কাটাচ্ছেন। শিশুদের উপস্থিতিতে সবচেয়ে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো।

আর রাজধানীর বড় বড় যেসব সড়কে অন্য সময় রিকশা চলাচলে বাধানিষেধ ছিল, ঈদের ছুটির ফাঁকা রাস্তায় সেখানে এখন ‘স্বাধীন’ রিকশা। সেই সুযোগ নিয়ে অনেকেই রিকশায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন জায়গা। রিকশাওয়ালাকে যেন জোশে পেয়েছে, উড়ে চলছেন রিকশা নিয়ে।

বাবা-মার সঙ্গে রিকশায় করে মুহাম্মদপুর থেকে শিশু পার্কে এসেছে স্কুলপড়ুয়া লাবিবা ও সজল। লাবিবা বলল, তার রিকশায় আসতে খুব ভালো লেগেছে। শিশুপার্কে আজ বিভিন্ন রাইডারে চড়বে। লাবিবার বাবা বলেন, ‘আসলে সবাইকে নিয়ে বের হওয়ার এমন সুযোগ কমই হয়। সবার ছুটি একসঙ্গে পাওয়া না।’ স্ত্রীও চাকরি করেন বলে জানান তিনি।

ঈদের সরকারি ছুটির শেষ দিন রবিবার এ রকমই আনন্দ-উল্লাস আর প্রাণময় ছিল রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো। দর্শনার্থরি ভিড় ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসও।

(ঢাকাটাইমস/৩সেপ্টেম্বর/জেআর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

সব অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

সব বাধা অতিক্রম করে জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী

দেশে ১৩ শতাংশ মানুষ চোখের গ্লুকোমা সমস্যায় ভুগছে

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আইওএমের কার্যকর ভূমিকা চায় বাংলাদেশ

সুন্দরবনের আগুন পুরোপুরি নিভেছে: পরিবেশ মন্ত্রণালয়

জাহাজে হজযাত্রী পরিবহনের বিষয়টি ‘ইনকারেজ’ করছে না সৌদি: ধর্মমন্ত্রী

জিসিসির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের নবদিগন্ত উন্মোচন

আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি নিয়ে আশাবাদী সরকার

জনগণকে নিরপেক্ষভাবে সেবা দিতে পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ আইজিপির

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :