প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে ফরিদপুরে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

ফরিদপুর প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৯ মে ২০১৯, ১৬:৩৭
অ- অ+

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্টজনদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর পোস্ট দেয়ায় প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে ফরিদপুরের মানুষ। বিতর্কিত এই সাংবাদিককে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রবিবার ফরিদপুরে সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ।

ফরিদপুর শহর ছাড়াও প্রবীর সিকদারের নিজ গ্রাম কানাইপুরে হাজার হাজার মানুষ প্রবীরের বিরুদ্ধে এসব কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচিতে অংশ নেয়া মানুষ বিতর্কিত এই সাংবাদিকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

প্রবীরের শাস্তির দাবিতে গত বৃহস্পতিবার হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, পুজা উদযাপন পরিষদসহ ফরিদপুরের সর্বস্তরের সচেতন হিন্দুসমাজের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। এছাড়া শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ। প্রতিটি কর্মসূচিতে প্রবীরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়।

রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সদর উপজেলাধীন কানাইপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ মানুষ। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে হাজারো নারী-পুরুষ হাতে ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী সুবল চন্দ্র সাহা বলেন, ‘প্রবীর সিকদার ফরিদপুরের সাধারণ হিন্দু সমাজকে আজ মুখোমুখি দাড় করিয়েছেন। তিনি ফরিদপুরে সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। কেউ তার কর্মকাণ্ডে সংক্ষুব্ধ হয়ে আইনগত প্রতিকার চাইলে ফরিদপুর বারের আইনজীবীরা বিনামূল্যে তাকে আইনগত সহায়তা দেবে।’

প্রবীর সিকদার টাকার জন্য ব্ল্যাকমেইলিং করেন এবং এর স্বপক্ষে প্রমাণ আছে বলে বক্তারা দাবি করেন। তারা বলেন, ‘বিভিন্ন মানুষের বিরুদ্ধে প্রবীর ফেসবুকে মিথ্যাচার করেছেন। যদি কেউ তার লেখায় ক্ষুব্ধ হয়ে কোনো কিছু করেন তবে তার দায়ভার আওয়ামী লীগ নেবে না।’ প্রবীর শিকদারকে তার কৃতকর্মের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দেন তারা।

মহাসড়ক অবরোধ চলাকালে আরও বক্তব্য দেন- কোতয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্যা, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অনিশেষ রায়, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, জেলা যুবলীগের সভাপতি এএচএম ফোয়াদ, কোতয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কুমারেশ সাহা, কানাইপুর বাজার ব্যবসায়ী কমিটির নেতা স্বপন সাহা, বেগম রোকেয়া স্কুলের শিক্ষক মোহসিন আলী, কানাইপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রঞ্জন চক্রবর্তী, কানাইপুর বাজারের ব্যবসায়ী নেতা আইনজীবী দুলাল চন্দ্র সরকার, জনবিন্দু সাহা, শহিদুর রহমান, আরিফুজ্জামান চাঁদ, অনীল কুমার সাহা প্রমুখ।

মহাসড়ক অবরোধের সময় কানাইপুর বাজারের উভয়পাশে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসসহ কয়েক শ’ যানবাহন আটকা পড়ে।

কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম জানান, ৪০ মিনিট পর অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ঢাকাটাইমস/১৯মে/প্রতিনিধি/এমআর

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
"হাতে হারিকেন ধরিয়ে জাহান্নামে পাঠানো হবে!" — চাঁদাবাজি নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার হুঁশিয়ারি
মিডফোর্ডের ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার পরও বিএনপিকে দায় চাপানো অপরাজনীতি: সালাহউদ্দিন
মিডফোর্টে পাথর মেরে হত্যা আইয়ামে জাহেলিয়াতকেও হার মানিয়েছে: জামায়াত
মিটফোর্ড হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি বিএনপি মহাসচিবের
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা