শিশুটির কী দোষ?

রেজাউল করিম, টাঙ্গাইল
| আপডেট : ২২ জুন ২০১৯, ২২:১৯ | প্রকাশিত : ২২ জুন ২০১৯, ২১:৫৫

টাঙ্গাইলের সখীপুরে একটি চুরির মামলায় আটক হয়েছে ফরিদ উদ্দিন খাঁন ও তার স্ত্রী নুর ভানু। আটক বাবা-মায়ের কোলে রয়েছে দুই বছর বয়সী শিশুকন্যা মারিয়া। বাবা-মায়ের অপরাধে নিস্পাপ শিশুটিকেও থাকতে হচ্ছে থানাহাজতে। শিশু বয়সেই ব্যতিক্রম অভিজ্ঞতা হলো মারিয়ার। এতে শিশুটির মানসিক বিকাশে বাধাগ্রস্ত হবে কিনা জনমনে এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।

শুক্রবার রাতে পৌরশহরের ৫নম্বর ওয়ার্ড এলাকা থেকে শিশু মারিয়ার বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে শনিবার সকালে তাদের টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়। তাদের সঙ্গে মারিয়াকেও আদালতে যেতে হয়। আদালত মারিয়ার বাবা-মাকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। পরে শিশু মারিয়াসহ তিনজনকে আবার সখীপুর থানাহাজতে ফেরত পাঠানো হয়। থানায় আনা, আদালতে হাজির, অতঃপর রিমান্ডের জন্য থানায় অবস্থানকালে শিশুটিকে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকাটা আলোচনায় উঠেছে। কী দোষ শিশু মারিয়ার!

পৌরশহরের ৫নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াদুদ হোসেনের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন নুর ভানু। নুর ভানু ওই বাসার আলমারির তালা ভেঙে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করে। পরে চুরি করা মালামাল তার স্বামীর মাধ্যমে বিক্রি করেছে বলে এ ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই আসামি করে ওয়াদুদ হোসেন মামলা করেন।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, দুই বছরের শিশু মারিয়া এ মামলার আসামি নয়। তার বাবা-মা চুরির মামলায় এজাহাভুক্ত আসামি। আমরা আদালতকে আসামিদের দুগ্ধপোষ্য দুই বছরের একটি শিশু রয়েছে বলে অবগত করেছি।

এদিকে আদালত পরিদর্শক তানভীর আহম্মেদ জানান, চুরির মামলায় শনিবার উভয়কে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। আদালত তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। পরে তাদের সখীপুর থানায় পাঠানো হয়। শিশুদের বিষয়টি আদালতে পাঠানোর সময় থানা থেকে উল্লেখ করা থাকে।

(ঢাকাটাইমস/২২জুন/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :