রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি ধারালো অস্ত্র জব্দ
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কোটবাজারের ভালুকিয়া সড়ক থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
ভালুকিয়া সড়কের একটি কামারের দোকান থেকে দেশীয় এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিতরণের জন্য বেসরকারি এনজিও সংস্থা ‘মুক্তি’ এসব অস্ত্র তৈরি করার ফরমায়েশ দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন কামার অধীর দাস। জব্দ এসব অস্ত্রের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়।
সোমবার সকালে এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন উখিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফখরুল ইসলাম।
যদিও এগুলোকে ধান কাটার ধারালো নিড়ানি বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের ধান কাটা নিড়ানি কেন লাগবে, সেই প্রশ্নের জবাব মেলেনি।
যিনি ধারালো হাতিয়ারগুলো তৈরি করেছেন, সেই কামার অধীর দাশের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন উখিয়া প্রেসক্লাব সভাপতি সরওয়ার আলম শাহীন। অধীর জানান, এনজিও মুক্তির পক্ষে প্রায় একমাস আগে দুই হাজার ৬০০টি দেশীয় অস্ত্র তৈরির অর্ডার দেন ভালুকিয়ার বাসিন্দা সাইফুল। তিনি এ বাবদ অগ্রিম দেন ৩০ হাজার টাকা।
উখিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এনজিও সংস্থা মুক্তির জন্য ভালুকিয়ার জনৈক সাইফুল এসব অস্ত্র তৈরির অর্ডার দিয়েছিল।’
‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিতরণের জন্য দেশীয় অস্ত্র তৈরির ঘটনায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।’
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে মুক্তির কার্যকরী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রণজিত দাশ বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমার সাথে কোন আলাপ আলোচনা করা হয়নি। টেন্ডার হয়েছে কিনা তাও জানি না।’
‘গত ২২ আগস্ট যে সভা হয়েছে সেখানেও এ সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাবনা উত্থাপিত হয়নি। এমনকি আমাকে মৌখিকভাবেও এ বিষয়ে অবগত করেনি কেউ।’
মুক্তির প্রধান নির্বাহী বিমল চন্দ্র দে সরকার দাবি করেন, ‘এগুলো কোন দেশীয় অস্ত্র না। এসব হচ্ছে ধান কাটার নিড়ানি (কাঁচি)। এসব নিড়ানি তৈরি করা হচ্ছে হৃীলার প্রান্তিক কৃষকদের দেওয়ার জন্য।’
ঢাকাটাইমস/২৬আগস্ট/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি