বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে গণশুনানি শুরু আজ

বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি শুরু হচ্ছে আজ। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিতরণ কোম্পানিগুলো। আজ বৃহস্পতিবার থেকে কাওরানবাজারে অবস্থিত বিইআরসি কার্যালয়ে এই গণশুনানি শুরু করবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)সহ ছয়টি বিতরণ কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। শুনানি শেষে ৯০ দিনের মধ্যে কমিশনের পক্ষ থেকে মূল্যের বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট আদেশ পাওয়ার কথা রয়েছে।
বিইআরসি জানায়, পিডিবি পাইকারি ও খুচরা, পিজিসিবি সঞ্চালন মূল্যহার ও সব বিতরণ কোম্পানি বিদ্যুতের খুচরা মূল্যহার পরিবর্তনের জন্য কমিশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
কমিশন সূত্র জানায়, ২৮শে নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত পিডিবি প্রস্তাবিত পাইকারি মূল্যহার পরিবর্তনের ওপর গণশুনানি হবে। এরপর দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) এর প্রস্তাবিত সঞ্চালন মূল্যহার পরিবর্তন নিয়ে শুনানি হবে।
এরপর ১লা ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে গ্রাহক-পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবিত দামের ওপর শুনানি। ১লা ডিসেম্বর সকাল ১০টায় শুরু হবে পিডিবির গ্রাহক-পর্যায়ের মূল্যহার পরিবর্তনের ওপর শুনানি। একই দিন দুপুর ২টায় শুরু হবে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের ( নেসকো) শুনানি। ২রা ডিসেম্বর সকালে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের(ডিপিডিসি) এবং দুপুরে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো)-এর শুনানি। এরপর ৩রা ডিসেম্বর সকালে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) এবং দুপুরে ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো)-এর গ্রাহক-পর্যায়ে মূল্যহার পরিবর্তনের ওপর গণশুনানি।
এর আগে চলতি বছরের মার্চে তিনদিনের গণশুনানি শেষে ১লা জুলাই থেকে গ্যাসের নতুন মূল্যেও ঘোষণা দিয়েছিল বিইআরসি। ২০১৭ সালে সর্বশেষ বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানো হয়। এরপর দুই বছরের মাথায় এসে আবারও মূল্য বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবারের গণশুনানিতে অংশ নিতে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও বাম সংগঠন আগ্রহ দেখিয়েছে। পাশাপাশি দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরাও আবেদন করেছেন। এরমধ্যে আছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) এবং বাংলাদেশ পোশাক শিল্প প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। এছাড়া, বিভিন্ন সংগঠনও আগ্রহ দেখিয়েছে। কমিশন জানায়, কেউ চাইলে সরাসরি এসেও শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন।
ঢাকা টাইমস/২৮নভেম্বর/একে

মন্তব্য করুন