অভিশংসন থেকে রেহাই পেলেন ট্রাম্প

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিশংসন থেকে রেহাই দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেট। স্থানীয় সময় বুধবার অভিশংসন ইস্যুতে এক ভোটাভুটিতে ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দিয়েছেন বেশিরভাগ সিনেটর। এর মাধ্যমে ট্রাম্পের অভিশংসনের বিচার প্রক্রিয়ার অবসান হলো। খবর বিবিসির।
ক্ষমতার অপব্যবহার ও মার্কিন কংগ্রেসকে বাধা প্রদানের অভিযোগে মার্কিন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে গত বছর অভিশংসিত হন ট্রাম্প। এরপরই এই প্রক্রিয়া সিনেটে স্থানান্তরিত হয়। তবে শুরু থেকেই অনেকটা নিশ্চিত ছিল যে, সিনেটে অভিশংসিত হবেন না ট্রাম্প। কারণ সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ট্রাম্পের রাজনৈতিক দল রিপাবলিকানদের হাতে।
বুধবার ঐতিহাসিক ভোটে ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দেন বেশিরভাগ সিনেটর। ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ৫২-৪৮ ব্যবধানে এবং কংগ্রেসকে বাধা প্রদানের অভিযোগে ৫৩-৪৭ ব্যবধানে ট্রাম্পের পক্ষে ভোট পড়ে। ট্রাম্পের পক্ষে বেশিরভাগ ভোট পড়ায় তাকে অভিশংসন বিচার প্রক্রিয়া থেকে খালাস দেয়া হয়।
গত বছরের শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ গঠন করে ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদ। এর একটি অভিযোগ ছিল ক্ষমতার অপব্যবহার, যা তিনি করেছিলেন আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন ও তার ছেলের বিষয়ে তদন্ত শুরুর জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে চাপ প্রয়োগ করে। এ জন্য এমনকি তিনি ইউক্রেনকে দেওয়া মার্কিন সামরিক সহায়তা তহবিলও আটকে দেন।
দ্বিতীয় অভিযোগটি ছিল, কংগ্রেসের কাজে বাধা সৃষ্টি। মূলত অভিশংসন তদন্ত শুরুর পর প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তদন্ত দলকে সহায়তা না করার নির্দেশ দেওয়াতেই তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়।
এই দুই অভিযোগে গত ডিসেম্বরে প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হন। এর আগে ১৯৯৮ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এবং ১৮৬৮ সালে অ্যান্ড্রু জনসন অভিশংসিত হয়েছিলেন। তবে তাদের কেউই অপসারিত হননি। আর ১৯৭৪ সালে ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির জেরে আনা অভিশংসন প্রস্তাবটি পাস হওয়ার আগেই পদত্যাগ করেছিলেন রিচার্ড নিক্সন।
শুরু থেকেই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ট্রাম্প।
ঢাকা টাইমস/০৬ফেব্রুয়ারি/একে

মন্তব্য করুন