কৃত্রিম উপায়ে পাকানো আম চিনবেন যেভাবে

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১০ মে ২০২০, ১০:০৯ | প্রকাশিত : ১০ মে ২০২০, ১০:০০

সবেমাত্র আম পাকতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে বাজারে মিলছে পাকা আম। বেশি দাম পাওয়ার আশায় অনেক অসাধু ব্যবসায়ী কাঁচা আম কৃত্রিমভাবে কার্বাইড দিয়ে পাকিয়ে বাজারে বিক্রি করছে। রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আমে প্রাকৃতিকভাবে পাকা আমের স্বাদ থাকে না। এই আম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

আপনি যদি বাজারে পাওয়া সুন্দর হলুদ পাকা আম দেখে কিনে থাকেন, তবে এই ফলগুলো খাওয়ার মাধ্যমে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন অসুখ। তাই চেষ্টা করুন গাছ পাকা আম খাওয়ার, পাশাপাশি অন্যান্যদেরও সচেতন করুন।

রাসায়নিক দেওয়া পাকা আম খাওয়া থেকে দূরে থাকুন। চলুন দেখে নিন রাসায়নিকভাবে পাকানো আম চেনার উপায় কী এবং তা স্বাস্থ্যের কী ক্ষতি করে।

ক্যালসিয়াম কার্বাইড, অ্যাসিটিলিন গ্যাস, কার্বন-মনোক্সাইডের মতো রাসায়নিকগুলো ব্যবহার করে কাঁচা আম ও অন্যান্য কাঁচা ফল পাকানো হয়।

এই রাসায়নিকগুলো এতটাই ক্ষতিকারক যে, ফলের মাধ্যমে তা শরীরে গেলে ত্বকের ক্যানসার, কোলন ক্যানসার, জরায়ুর ক্যানসার, লিভার ও কিডনির সমস্যা, মস্তিষ্কের ক্ষতির মতো মারাত্মক রোগ হওয়ার ঝুঁকি দেখা যায়।

রাসায়নিক দিয়ে পাকা আম কীভাবে চিহ্নিত করবেন

উপরোক্ত সকল ক্যামিকেল ও গ্যাস দিয়ে পাকানো আম চেনা খুব একটা কঠিন নয়।

০১. ফলের চেহারা হবে উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয়।

০২. ক্যামিকেল দিয়ে পাকানো আমের সবদিকটাই সমানভাবে পাকবে কিন্তু গাছ পাকা ফলের সবদিক কখনোই সমানভাবে পাকে না।

০৩. রাসায়নিক দিয়ে পাকানো ফলে স্বাভাবিক পাকা ফলের মতো মিষ্টি গন্ধ থাকবে না।

০৪. প্রাকৃতিকভাবে পাকা ফলের চামড়ার ওপর এক ফোঁটা আয়োডিন দিলে তা গাঢ় নীল অথবা কালো বর্ণের হয়ে যাবে। কিন্তু ক্যামিকেল দ্বারা পাকানো ফলে আয়োডিনের রং অপরিবর্তিত থাকে।

খাওয়ার জন্য যা করণীয় ফলের মৌসুমের আগে ফল কিনবেন না। কারণ, সময়ের আগে প্রাপ্ত ফলগুলো ক্যামিকেল দিয়ে পাকানো হয়ে থাকে। খাওয়ার আগে পানিতে পাঁচ মিনিট ভিজিয়ে রাখবেন। তারপর ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে খাবেন। ফল সরাসরি খাবেন না।

(ঢাকাটাইমস/১০মে/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :