মির্জাপুরে গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামী-শ্বশুর পলাতক
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে শাহনাজ আক্তার চৈতী (২০) নামে এক গৃহবধূ ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। তবে গৃহবধূর মায়ের দাবি, যৌতুকের দাবিতে তার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের পাকুল্যা পশ্চিমপাড়ায় গৃহবধূর শ্বশুররবাড়ী থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের পাকুল্যা পশ্চিমপাড়া গ্রামের লাভলু মিয়ার ছেলে মো. লাভু মিয়া পাশের দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল গ্রামের শাহনাজ আক্তার চৈতীকে ভালবেসে বিয়ে করে। দাম্পত্য জীবনে তাদের ৪ মাস বয়সী সন্তানও রয়েছে।
নিহত চৈতীর মায়ের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে যৌতুক দাবি করে তার মেয়ের ওপর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ীর লোকজন অত্যাচার করত। গত পনের দিন আগেও যৌতুকের দাবিতে তারা তার মেয়েকে মারপিট করে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে ৫ হাজার টাকা দিয়ে পুনরায় তাকে শ্বশুরবাড়ী পাঠান তিনি। এর আগেও ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে তিনি জানান। তিনি হত্যার বিচার দাবি করেন।
মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ঘটনার পর থেকে স্বামী-শ্বশুর পলাতক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সায়েদুর রহমান বলেন, বিষয়টি গুরুত্বসহ দেখা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৭মে/এলএ)