কুড়িগ্রামে আবারো বাড়ছে বন্যার পানি, দুর্ভোগ চরমে

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি আবারো বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। পানিবন্দি জীবন-যাপন করছে অন্তত ৩ লাখ মানুষ।
অন্যদিকে তিস্তার পানির প্রবল স্রোতে রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের বুড়ির হাট এলাকায় ক্রসবারের মাটির ৫০ মিটার পানিতে ভেসে গেছে। ভাঙন দেখা দিয়েছে রাজারহাটের বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের রতিরাম এলাকার ক্রসবারেও। এতে করে ওই দুই ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রাম ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে। গত ৫ দিন ধরে জিও ব্যাগ ও বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
নদ-নদীর পানি আবারো বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে উঁচু বাঁধ, পাকা সড়ক ও বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া বন্যা দুর্গত মানুষজন সহসাই ঘরে ফিরতে পারছে না।
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মশালের চরের আকবর আলী ও রেজিয়া খাতুন জানান, প্রায় এক মাস ধরে পানির উপর বসবাস করছি। প্রতিদিন ভাবছি পানি কমবে- কিন্তু পানি কমার কোন নাম গন্ধ নেই। এ পর্যন্ত কোন ত্রাণ পাইনি। ঘরের খাবারও শেষ হয়ে গেছে। অন্যের কাছে ধার দেনা করে সামান্য কিছু খাবার এনে এক বেলা খেয়ে দিন পার করছি।
চিলমারী নয়ারহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হানিফা জানান, আমার ইউনিয়নের পুরো চরবাসী পানিবন্দি জীবন-যাপন করছে। যে ত্রাণ পেয়েছি, তা অতি নগন্য। আমার ইউনিয়বাসী সরকারের কাছে বন্যা থেকে চিরস্থায়ী সমাধানের আশা করছে।
জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম জানান, জেলার ৯ উপজেলার বন্যা দুর্গত মানুষদের মাঝে ত্রাণ অব্যাহত রয়েছে। আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে বন্যাকবলিত পরিবারগুলো ভিজিএফ’র ১০ কেজি করে চাল পাবে।
(ঢাকাটাইমস/২৩জুলাই/এলএ)

মন্তব্য করুন