মাহবুবুল এ খালিদের গানে কারবালার প্রান্তরের মর্মস্পর্শী বর্ণনা

১০ মহররম পালিত হচ্ছে পবিত্র আশুরা। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন ইবনে আলী (রা.) হিজরি ৬১ সনের এই দিনে কারবালার ফোরাত নদীর তীরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শাহাদাত বরণ করেন। এই স্মৃতিকে স্মরণ করে সারাবিশ্বে মুসলিমরা ১০ মহররম ত্যাগ ও শোকের দিন হিসেবে পালন করেন।
পাশাপাশি মুসলিমরা বিশ্বাস করেন, এই দিনটিতে পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে এবং এই দিনেই পৃথিবী ধ্বংস হবে। অর্থাৎ দিনটি কেয়ামতের দিন।
ইসলামের ইতিহাসে তথা সৃষ্টির শুরু থেকে নানা ঘটনায় এ দিবসটি তাৎপর্য রয়েছে। তবে কারবালা প্রান্তরে হজরত ইমাম হোসেন (রা.)-এর শাহাদত বরণই এ দিবসের সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য শোকাবহ, মর্মস্পর্শী, হূদয়বিদারক ও বিষাদময় ঘটনা। এ ঘটনা বিভিন্ন গ্রন্থ এবং সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।
কারবালা প্রান্তরের মর্মস্পর্শী ঘটনা নিয়ে হৃদয়ছোঁয়া একটি গান লিখেছেন কবি, গীতিকার ও সুরকার মাহবুবুল এ খালিদ। যার শিরোনাম ‘হায় হোসেন (মহররমের দশ তারিখে)’। গানটির সুর করেছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন কিশোর দাশ এবং রাফসান। আশুরার পবিত্র দিনের গানটির ভিডিও ইউটিউবের ‘খালিদ সংগীত’ চ্যানেলে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে গানটি মাহবুবুল এ খালিদের নিজস্ব ওয়েবসাইট ’খালিদসংগীত ডটকম’ (www.khalidsangeet.com)-এ প্রকাশিত হয়েছে। শোতাদের জন্য সুযোগ আছে গানটি ওয়েলকাম টিউন ও রিংটোন হিসেবেও ব্যবহারের। এই গানে হযরত ইমাম হোসেন (রা.)-এর শাহাদত বরণ এবং শিশু আজগরসহ অন্যদের পানির জন্য হাহাকারের বিষাদময় ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে গীতিকার মাহবুবুল এ খালিদ বলেন, হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) অসত্য, অধর্ম ও অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করেন নি। ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি জীবন বাজি রেখে সপরিবারে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। ইসলামের সুমহান আদর্শকে সমুন্নত রাখার জন্য তাঁর এ আত্মত্যাগ ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে আছে। কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা ও পবিত্র আশুরার শাশ্বত বাণী সকলকে অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং সত্য ও সুন্দরের পথে চলতে প্রেরণা যোগায়। ‘হায় হোসেন (মহররমের দশ তারিখে)’ গানটির মাধ্যমে এই সত্য তুলে ধরা হয়েছে। আশা করছি এই গানের মাধ্যমে শ্রোতাদের কাছে কারবালার প্রান্তরের সেই মর্মস্পর্শী ঘটনা স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
উল্লেখ্য, কবি, গীতিকার ও সুরকার মাহবুবুল এ খালিদের লেখা কবিতা ও গানে পাওয়া যায় নানান ধর্মের ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবের কথা। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে তিনি সবার জন্য গান রচনা করেন। তার কাছে সংগীত কোনো জাতি বা ধর্মের নয়, সংগীত সবার জন্য। মানবপ্রেমের মহৎ বাণীতে সমৃদ্ধ তার গান-কবিতা।
এছাড়াও, মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব রমজান, ঈদুল ফিতর, কোরবানি, শবে কদর, শবে মেরাজ, শবে বরাত এবং ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে তার লেখা গান রয়েছে। মাহবুবুল এ খালিদ রচিত এসব গানে সংশ্লিষ্ট দিবস ও উৎসবের উপলক্ষ্য ও তাৎপর্য দারুণভাবে ফুটে উঠে।গানটির ইউটিউব লিংক: https://youtu.be/AlpjxYyY2H4
(ঢাকাটাইমস/৩০আগস্ট/এজেড)

মন্তব্য করুন