সাবরিনা দম্পতির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন আরও দুজন

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:২০

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতিতে জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী প্রতিষ্ঠানিটির সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আরও দুজন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। এরা হলেন, নজরুল ইসলাম ও মো. হাসান।

বৃহস্পতিবার চার্জশিটের এ সাক্ষীরা ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন।

আর সাক্ষ্যগ্রহণকালে সকল আসামিকেই কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এনিয়ে মামলাটিতে তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।

এর আগে গত ২৭ আগস্ট এ মামলায় বাদি কামাল হোসেনের সাক্ষ্য শুরু হয়, যা গত ৩ সেপ্টেম্বর শেষ হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউর আব্দুল্লাহ আবু, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শিহাব উদ্দিন, ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান সাক্ষ্য গ্রহণের সহায়তা করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা আক্তার পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস ওরফে বিপুল দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা রুমা।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, এ মামলায় গত ২২ জুন জেকেজির সাবেক গ্রাফিক্স ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীন পাটোয়ারীকে আটক করে পুলিশ। হিরু স্বীকারোক্তি দিয়ে জানান, তিনি ভুয়া করোনা সার্টিফিকেটের ডিজাইন তৈরি করতেন। যার সাথে জেকেজি গ্রুপের লোকজন জড়িত। ওই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জেকেজির সিইও আরিফুলসহ চারজনকে আটক করে। পরে সিইও জানান, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীর জ্ঞাতসারেই সব কিছু হয়েছে। এরপর গত ১২ জুলাই ডা. সাবরিনা চৌধুরী গ্রেপ্তার হয়ে ১৩ জুলাই ৩ দিনের রিমান্ডে যান। ওই রিমান্ডের পর ১৭ জুলাই তার ফের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। আর মামলায় গত ২৩ জুন আরিফ চৌধুরী গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে যান। পরবর্তীতে গত ১৫ জুলাই তাকে ফের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ড শেষে সকল আসামিই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

ডা. সাবরিনা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক। সাবরিনা আরিফের চতুর্থ স্ত্রী। তার প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী রাশিয়া ও লন্ডনে থাকেন। তৃতীয় স্ত্রীর সঙ্গে তালাক হয়েছে তার। চতুর্থ স্ত্রী ডা. সাবরিনার কারণেই করোনার নমুনা সংগ্রহের কাজ পায় জেকেজি হেলথকেয়ার। প্রথমে তিতুমীর কলেজ মাঠে স্যাম্পল কালেকশন বুথ স্থাপনের অনুমতি মিললেও প্রভাব খাটিয়ে ঢাকা, নায়ায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে ৪৪টি বুথ স্থাপন করেছিল। নমুনা সংগ্রহের জন্য মাঠকর্মী নিয়োগ দেন তারা। তাদের হটলাইন নম্বরে রোগীরা ফোন দিলে মাঠকর্মীরা বাড়ি গিয়ে এবং বুথ থেকেও নমুনা সংগ্রহ করতেন। এভাবে নমুনা সংগ্রহ করে তারা ২৭ হাজার রোগীকে করোনার টেস্টের রিপোর্ট প্রদান করেন। যার মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনা আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ জনের রিপোর্ট প্রতিষ্ঠানটি জাল-জালিয়াতির মধ্যেমে তৈরি করে। প্রত্যেক সার্টিফিকেট প্রদানের বিনিময়ে তারা ৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/১০সেপ্টেম্বর/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

বাংলাদেশ দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্বে থাকবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

হেরে গেলেন নিপুণ, শিল্পী সমিতির সম্পাদক পদে ডিপজলই বহাল

এজলাস কক্ষে হিটস্ট্রোকে অসুস্থ আইনজীবী

পদ ফিরে পেতে চেম্বার আদালতে ডিপজলের আবেদন

আনার হত্যা: আদালতে আসামিদের পক্ষে নেই আইনজীবী, শিলাস্তি বললেন ‘কিছু জানি না’

৪ জুলাই পর্যন্ত জামিন পেলেন ড. ইউনূস

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রিভিউ শুনানি ১১ জুলাই

ভিকারুননিসায় সেই ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল, অনিয়ম তদন্তের নির্দেশ

ডেসটিনির নতুন চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার প্রশান্ত বড়ুয়া

ভোটারদের রিসোর্টে নিতেন ডিপজল, দেখাতেন টাকার প্রলোভন: নিপুণের আইনজীবী

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :